দুই মামাতো ভাই হাতিয়ে নিয়েছে টাকা:বিদেশ যাওয়া হলো না মোস্তফার
নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার তালার সেনেরগাঁতির মোস্তফা মোড়লকে মালয়েশিয়া পাঠানোর নামে দুই ভাই সাতক্ষীরা সদরের পারমাছখোলা গ্রামের আল মামুন ও আতাউর হাজরা হাতিয়ে নিয়েছে দুই লাখ ৩৪ হাজার টাকা। গত বছর চারেক ধরে তারা এই টাকা ফেরত দিচ্ছে না। মোস্তফার মালয়েশিয়া যাওয়াও হচ্ছে না।
শনিবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন মোস্তফা মোড়লের মা সেনেরগাঁতি গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী রোমেছা খাতুন। তিনি বলেন পরিচয়ে তারা তার মামাতো ভাই। তারা মোস্তফার পাসপোর্টটিও আটকে রেখে বলছে সেটি খোয়া গেছে।
রোমেছা খাতুন বলেন ছেলের বেকারত্বের কথা শুনে মামুন তার সাথে সাক্ষাত করে এক লাখ টাকা চায়। বলে ‘বু, টাকা দাও। এই টাকায় মোস্তফাকে আমি মালয়েশিয়া পাঠাবো। সরল বিশ্বাসে তার হাতে ৯০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট দেওয়া হয় জানিয়ে তিনি বলেন,সে কথা মতো কাজ করেনি। তবে মোস্তফাকে তিন চারবার ঢাকায় নিয়ে যায় সে। লাভ কিছুই হয়নি। রোমেছা বলেন এ ঘটনার বেশ কিছুদিন পর মামুনের ভাই আতাউর হাজরা এসে একই কথা বলে। আতাউর বলে ‘মামুন তো তোমার ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে পারলো না। আমার কাছে তুমি আড়াই লাখ টাকা দাও। আমি ব্যবস্থা করবোই’।
রোমেছা বলেন,ছেলের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আবারও জমিজমা বিক্রি করে তার হাতে তুলে দেই দুই লাখ চার হাজার টাকা। পরে জানতে পারলাম আতাউর ওই টাকা নিয়ে নিজে চলে গেছে মালয়েশিয়ায়। আর আমার ছেলে বাড়িতে বেকার পড়ে রইলো। তিনি বলেন মামুন ও আতাউর এখন গ্রামে বহুতল ভবন তৈরি করছে। জমিজমা কিনছে। অঢেল টাকার মালিক তারা।
রোমেছা বলেন অনেক তাগাদার পর মামুন দুই কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছে । এখনও বাকি ৩০ হাজার টাকা। আর পাসপোর্টটি তো হাওয়া করে দিয়েছে। তিনি বলেন এতো টাকা খুইয়ে বড়ই অসহায় অবস্থায় পড়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে রোমেছা তার বৃদ্ধা মা আনোয়ারা খাতুনকে নিয়ে এসেছিলেন। আনোয়ারা বললেন, আমি নিজ হাতে তাদের এই টাকা দিয়েছি। আমি ওদের বিচার চাই’।রোমেছা বলেন আমি এর প্রতিকার চাই। এজন্য পুলিশ সুপারের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন তিনি।