একজন সু-শিক্ষিত মা পারেন একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিতে,উপজেলা চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী
কালিগঞ্জ উপজেলা‘র কৃষ্ণনগর ইউনয়নের কৃষাণ মজদুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় অত্র বিদ্যালয়ের হলরুমে মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষাণ মজদুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা নাজমুন্নাহারের সঞ্চালনায় ও অত্র বিদ্যালয়ের এস এম সি কমিটির সভাপতি আব্দুল আজিজ গাইনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি‘র বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী।
তিনি বলেন, মা একটি ছোট শব্দ হলেও মায়ের কাছে একজন সন্তান পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ, তেমনি একজন সন্তানের কাছে মা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ শিক্ষক, মা গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। একজন সুশিক্ষিত মা পারেন একটি শিক্ষিত জাতির উপহার দিতে। নৈতিক শিক্ষা শিশুরা পরিবার থেকেই পেয়ে থাকে। একজন শিশু জন্মের পর থেকে কিশোর পর্যন্ত দীর্ঘ সময় পার করে মায়ের সাথে। অতএব আদর্শ শিক্ষার্থী গড়তে মায়েদের ভূমিকা অপরিহার্য। অসৎ সঙ্গে শিক্ষার্থীরা অনেক সময় পড়ালেখা থেকে ঝরে পড়ে।
লেখাপড়া থেকে ঝরে পড়া রোধে নিয়মিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠানো, বাড়িতে পড়ার পরিবেশ নিশ্চিত করা, বন্ধু নির্বাচনে সতর্ক থাকা, মাদকমুক্ত রাখা ও সন্তানদের বিনোদনে রাখার প্রতি মায়েদেরকে আহবান জানান তিনি। এদিকে মেয়েদের বাল্যবিবাহ থেকে বিরত রাখতে নানা পরামর্শ ও ক্ষতিকারক দিকগুলো তুলে ধরেন তিনি। বাবা-মায়ের সাথে সন্তানের সম্পর্ক থাকবে বন্ধুর মতো। এতোটা কাছে থাকা উচিৎ যেন সন্তানরা বন্ধুর মতো বাবা মায়ের সাথে সব আলোচনা করতে পারে।
ভ্রান্ত পথে যাওয়ার আগেই যেন বাবা-মা বুঝতে পারে তার গতিপথ। সন্তানদের সব কাজে উগ্র হয়ে বাঁধা না দিয়ে বরং সব কাজে হ্যাঁ বলার পরামর্শ দেন তিনি। প্রথমে হ্যাঁ বলে পরবর্তীতে ক্ষতিকারক দিক তুলে ধরলে শিশুরা নিজ থেকে ওই কাজ থেকে সরে দাঁড়াবে। ‘চাকরি নেই এই কথার ভিত্তি নেই’ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন- দেশে পর্যাপ্ত কাজের সুযোগ রয়েছে। বরং কাজ দেয়ার মতো মেধাবীদের খুঁজে পাওয়া যায় না।
সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার শামসুন্নাহার, সহকারী উপজেলা। শিক্ষা অফিসার এ কে এম মোস্তাাফিজুর রহমান, কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রাক্তন শিক্ষক অমল কৃষ্ণ ঘোষ প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য, অভিভাবক, ছাত্র-ছাত্রী, ইউপি সদস্য সুধী ও সাংবাদিকবৃন্দ।