কেশবপুরের ভাল্যুকঘর আজিজিয়া ফাজিল মাদ্রাসা নিয়ে আরবি প্রভাষক হাদীউজ্জামান সোহাগ গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত,প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
কেশবপুরের ভাল্যুকঘর আজিজিয়া ফাজিল মাদ্রাসা নিয়ে প্রতিষ্ঠানের আরবি প্রভাষক হাদীউজ্জামান সোহাগ গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।সোমবার বিকালে কেশবপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে ভাল্যুকঘর আজিজিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হাই বলেন, তিনি ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স এর উপধারা মোতাবেক গভর্নিং বডি কর্তৃক বিধিসম্মত ভাবে ২০১৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হিসাবে নিয়োগ পাই।
তখন থেকে অদ্যাবধি প্রতিষ্ঠানে সকল জাতীয় দিবস যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয় এবং সকল পরীক্ষায় সাফল্যের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক হাদীউজ্জামান সোহাগ ১০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর তার বিবাহ উপলক্ষে আমাকে দাওয়াত করেন। আমি বরযাত্রী হিসাবে কন্যার পিতৃলয়ে যাই এবং বিবাহ শেষে নিজগৃহে চলে আসি। বিবাহের দুই মাস পরে তাদের দাম্পত্য জীবন শুরু হলে হাদিউজ্জামান সোহাগ তার স্ত্রীকে তালাক প্রদান করে।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কন্যার পিতা ঝিকরগাছা উপজেলার উত্তর রাজাপুর গ্রামের আতিয়ার রহমান যশোর বিজ্ঞ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং সি.আর. ২৯৬/৯, তারিখ ২৭-০৮-২০১৯। যেখানে প্রতিষ্ঠান ও আমাকে কেন্দ্র করে কুরুচিপূর্ণ ভুলতথ্য প্রদান করে। আরজিতে ২৫-০৮-২০১৯ তারিখের কথা উল্লেখ করলেও ঐদিন প্রতিষ্ঠানে একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়ে অনুষ্ঠান চলমান ছিল। মামলাটি নিষ্পত্তির জন্য হাদিউজ্জামান সোহাগ আমাকে পরবর্তীতে পরিশোধ করে দেওয়ার কথা বলে প্রয়োজনীয় টাকা খরচ করার কথা বলেন।
পরবর্তীতে সে আমার টাকা পরিশোধ করতে অস্বীকার করে এবং আমার ও আমার পুত্রের বিরুদ্ধে হুমকি-ধমকি দিতে থাকে। বিষয়টি নিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসা সংলগ্ন মসজিদের পিছনে আরবি প্রভাষক হাদিউজ্জামান সোহাগ ও আমার পুত্র আব্দুল্লাহ আল মাহফুজের সাথে বাগবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে দুই জনের মধ্যে মারামারি হয়। বর্তমানে তারা দুই জনই চিকিৎসাধীন রয়েছে। হাদিউজ্জামান সোহাগ আতিপূর্বে আরও ৩টি বিবাহ করেছিলেন সেটা আমার জানাচ্ছিল না।
তাছাড়া প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা পরিপন্থী ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য আরবি প্রভাষক হাদিউজ্জামান সোহাগকে ইতিপূর্বে ২বার শোকজ করা হয়েছে। সর্বশেষ গত ১৫ সেপ্টেম্বর তাকে কেন প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কার করা হবে না মর্মে ৩য় বার শোকজ করা হয়েছে। এদিকে আরবি প্রভাষক হাদিউজ্জামান সোহাগ একটি কুচক্রী মহলের সহায়তায় প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষার্থীকে ভুল বুঝিয়ে গত ১৮ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট নিয়ে যায়।
সর্বশেষ গত ২৩ সেপ্টেম্বর সকালে আরবি প্রভাষক হাদিউজ্জামান সোহাগ ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, ফেস্টুন তৈরি করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে ঐ কুচক্রী মহলের সহায়তায় শহরের ত্রিমোহিনী মোড়ে একটি মানববন্ধন করে প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে। এব্যাপারে ভাল্যুকঘর আজিজিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল হাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বহু বিবাহের নায়ক ও প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি নষ্টকারি আরবি প্রভাষক হাদিউজ্জামান সোহাগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে নিকট জোর দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।