জি এম কাদেরই চেয়ারম্যান, বিরোধীদলীয় নেতা রওশন
জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙ্গা জানিয়েছেন, জি এম কাদেরই পার্টির চেয়ারম্যান থাকছেন। আর রওশন এরশাদ হচ্ছেন বিরোধীদলীয় নেতা।
রোববার সকালে দলের বনানী কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
তবে, রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান রাঙ্গা।
এর আগে, গতকাল শনিবার রাত ৯টা থেকে প্রায় মধ্যরাত পর্যন্ত রাজধানীর বারিধারার কসমোপলিটন ক্লাবে দুই পক্ষের নেতাদের নিয়ে সমঝোতা বৈঠকে বসেন দেবর-ভাবি।
বৈঠকে জাতীয় পার্টিতে পদ নিয়ে সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা ও দলের কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ এবং দলের চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের মধ্যকার বিরোধের সাময়িক সমঝোতা হয়। সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা হবেন রওশন এরশাদ এবং জি এম কাদের দলের চেয়ারম্যান থাকবেন ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা হবেন- এমন সমঝোতায় আসেন তারা।
বৈঠকে রংপুর-৩ আসনে প্রার্থীর বিষয়ে জি এম কাদের ও মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাঁকে সিদ্ধান্ত নেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তবে বৈঠকে উপস্থিত এক প্রেসিডিয়াম সদস্য ডেইলি বাংলাদেশকে বলেন, প্রার্থী হিসেবে দুই জনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। একজন এরশাদ-রওশন দম্পতির পুত্র সাদ এরশাদ ও অপর জন রংপুর জেলা জাপার সভাপতি ফকরুজ্জামান জাহাঙ্গীর। তিনি জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও একজন শিল্পপতি। এর আগে অবশ্য রংপুর-৫ আসন থেকে দুইবার সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের আশিকুর রহমানের কাছে হেরে যান। এর আগে দলীয় প্রার্থীর আলোচনায় রংপুর মহানগর জাপার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আহমেদের নাম থাকলেও পরে তিনি বাদ পড়েন।
বৈঠকে রওশন এরশাদ সমর্থকদের মধ্যে ছিলেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ফখরুল ইমাম, মুজিবুল হক চুন্নু, সেলিম ওসমান ও এস এম ফয়সাল চিশতী। অন্যদিকে জি এম কাদেরের পক্ষের নেতাদের মধ্যে ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা।
গত এক সপ্তাহ ধরে জাপার চেয়ারম্যান ও সংদের বিরোধীদলীয় নেতা হওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হয় জি এম কাদের ও রওশন এরশাদের মধ্যে। গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জাপার একাংশ রওশন এরশাদকে দলের চেয়ারম্যান ঘোষণা করে। পরে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে জি এম কাদেরকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এর ফলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা দেবর-ভাবির বিরোধ প্রকাশ্য রূপ নেয়।
এর আগে দলীয় প্যাডে নিজেকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতার পদে নিয়োগ দিতে স্পিকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চিঠি দেন জি এম কাদের। এর পরদিন গত বুধবার জি এম কাদেরের চিঠির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তা গ্রহণ না করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন রওশন এরশাদ।