আটুলিয়ায় ইজারাকৃত জমিতে প্রতিপক্ষের জোরপূর্বক দখল, থানায় অভিযোগ
শ্যামনগরের উত্তর আটুলিয়ায় দীর্ঘদিনের ভোগদখলীয় ইজারাকৃত সরকারি খাস জমিতে অবৈধভাবে প্রবেশপূর্বক বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন করে জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার উত্তর আটুলিয়া গ্রামের শেখ পাড়ায়। এই ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার উত্তর আটুলিয়া গ্রামের মৃত সাত্তার শেখের পুত্র আইয়ুব আলী শেখ কয়েক দশক ধরে আটুলিয়া মৌজার ০১ নং খাস খতিয়ানের ২৯৯৬ দাগের পনের শতক খাস জমি ইজারা নিয়ে ভোগ দখল করে আসছে। সম্প্রতি আইয়ুব আলী শেখের সাথে প্রতিপক্ষের মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে গতকাল ৩রা সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একই এলাকার মৃত আখের আলী শেখের পুত্র আলীম শেখ, হালিম শেখ, মান্নান শেখ, রাজ্জাক শেখ, ছট্রু শেখ, মৃত পচাব্দী শেখের পুত্র শামসুর শেখ, মৃত কাশেম শেখের পুত্র শহিদুল শেখ, আলীম শেখের পুত্র বাবু, হালিম শেখের পুত্র সেলিম, শহিদুল শেখের পুত্র বাবু সহ আরও ৬/৭ জন ব্যক্তি দা, লাঠি, কোদাল, শাবল সহ বিভিন্ন অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে আইয়ুব শেখের অনুপস্থিতিতে তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে তার (আইয়ুব শেখের) কয়েক দশক ধরে ভোগদখলীয় ইজারা নেওয়া পনের শতক জমির গাছ গাছালি কেটে সাবাড় করে প্রায় ৬-৭ শতক জমিতে ঘেরাবেড়া দিয়ে সেখানে একটি দোচালার ঘর তৈরি করে অবৈধভাবে দখল করে নেয়।
ভুক্তভোগী আইয়ুব আলী শেখ (৫৪) প্রতিবেদক কে জানান, ঘটনার সময় আমি গোবিন্দপুরে থাকায় আমার প্রতিপক্ষরা আমার ইজারা নেওয়া কয়েক দশক ধরে ভোগদখলীয় বসত ভিটায় অবৈধভাবে প্রবেশ করে আমার লাগান বিভিন্ন প্রজাতির গাছপালা কেটে সেখানে অবৈধভাবে ঘর তৈরি করে দখল করে নিয়েছে। আমি বাড়ি না থাকার সুযোগ তারা এই কাজটি করেছে।
আইয়ুব আলী শেখের স্ত্রী আসমা খাতুন জানান, ঘটনার দিন পুলিশ পরিদর্শন করে চলে যাবার পরে বিকাল ৫টার দিকে প্রতিপক্ষরা ধারাল দা, লাঠি, শাবল, বোমা সদৃশ ইট, নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমার স্বামী ও আমার পুত্রকে মারাত্মকভাবে মারধর করতে দেখে আমি এগিয়ে গেলে আমাকেও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে চলে যায়। এরপর প্রতিবেশীরা আমাদের কে উদ্ধার করে শ্যামনগর হাসপাতালে ভর্তি করে দিয়েছে। বর্তমানে আইয়ুব আলী শেখের পরিবারের ৩ সদস্য শ্যামনগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা যায়।