ভূমিদস্যু গোবিন্দ লাল ঘোষ কর্তৃক মন্দিরের সম্পত্তি জোর ভোগদখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

সাতক্ষীরার তালার খলিষখালীতে ভূমিদস্যু গোবিন্দ লাল ঘোষ কর্তৃক মন্দিরের সম্পত্তি জোর পূর্বক ভোগদখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে খলিষখালী গ্রামের মৃত হরিদাশ ঘোষের পুত্র আশি বছরের বৃদ্ধা সত্য প্রশাদ ঘোষ এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিগত ১৯৬২ সালে খলিষখালী মৌজায়, জে এল নং- ২০, এস এ খতিয়ান নং- ১৪৪৭, মোট ৯০ একর সম্পত্তির তৎকালীন মালিক চৌধুরী বাবুরা চৌধুরি স্ট্রেট এর নামে দান করেন এবং আমার পিতা মৃত হরিদাশ ঘোষ গং এর নামে পাওয়ার নামা করেন। কিন্তু অত্র এলাকার মৃত ঠাকুর দাশ ঘোষের পুত্র চিহ্নিত ভূমিদস্যু গোবিন্দ লাল ঘোষ কৌশলে জালিয়াতির মাধ্যমে জাল পাওয়ার নামা করে উক্ত সম্পত্তি দখল করে নেয় এবং অত্র এলাকার গরিব মানুষদের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নিয়ে জমি দেওয়ার নাম করে গুচ্ছগ্রাম তৈরি করে। অথচ উক্ত সম্পত্তি মন্দিরের। যার সকল বৈধ কাগজপত্র রয়েছে।

বিগত ২০১০ সালে উক্ত সম্পত্তির মালিক বিনয় কৃষ্ণ রায় চৌধুরী গং সত্য প্রশাস গং এর নামে পাওয়ার অব এট্যার্নী করে দেন। কিন্তু পরসম্পদ লোভী গোবিন্দ লাল ঘোষ ওই সম্পত্তির দখল না দিয়ে জোরপূর্বক ভোগ দখল অব্যাহত রাখে। এবিষয়ে গত ২১/৩/১১ তারিখে খলিষখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব একটি আদেশে উল্লেখ করেন, উক্ত সম্পত্তি খাজনা প্রাপক জমিদার বিনয় কৃষ্ণ রায় চৌধুরী গং। রেকর্ডীয় মালিকগণ ১ম পক্ষে পূর্বে এদেশ ত্যাগ করার সময় উক্ত সমূদয় সম্পত্তি অর্পিত সম্পত্তির তালিকাভুক্ত হয় এবং উক্ত সম্পত্তি চৌধুরী স্ট্রেট নামে পরিচিতি লাভ করে। সে অনুযায়ী চৌধুরী স্ট্রেট উক্ত সম্পত্তির লীজ দিতে পারবে।

তিনি আরো বলেন ভূমিদস্যু গোবিন্দ লাল ঘোষের কাছ থেকে সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য স্থানীয় থানা পুলিশ, আদালত, সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করলেও সুচতুর গোবিন্দ লাল কোন স্থানে হাজির হয় না এবং টাকার জোরে বেরিয়ে আসে। এছাড়া পাটকেলঘাটা থানা, আদালত এর রিপোর্ট সত্য প্রশাদ ঘোষ গং এর পক্ষে রয়েছে। এ বিষয়ে গত ২০১৩ সালে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)হামিম হাসান একটি আদেশে উল্লেখ করেন উক্ত সম্পত্তির মালিক চৌধুরি স্ট্রেট সুতরাং চৌধুরী স্ট্রেট কর্তৃপক্ষ লীজ দিতে পারবেন। কিন্তু তারপরও উক্ত গোবিন্দ লাল ঘোষ কালো টাকার প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় ভাড়াটিয়া বাহিনীর সহযোগিতায় উক্ত সম্পত্তি সম্পূর্ণ অবৈধভাবে ভোগদখল করে যাচ্ছে এবং চৌধুরির বাড়ি ভাংচুর করে। এঘটনায় তার বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলাও রয়েছে। মন্দিরে সম্পত্তি ফেরত চাইলে গোবিন্দ পূজার পরে দেবে মর্মে তালবাহানা করে যাচ্ছে।
এব্যাপারে তিনি উক্ত সম্পত্তি অবৈধ দখলদার ভূমিদস্যু গোবিন্দ লাল ঘোষের কাছ থেকে উদ্ধার পূর্বক মন্দিরের সম্পত্তি মন্দিরকে বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)