বাবাসহ নারী পুলিশ কনস্টেবল কারাগারে
মঠবাড়িয়ায় হবু বরের সঙ্গে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাৎ মামলায় মিমি আক্তার (২০) নামের এক নারী পুলিশ কনস্টেবল ও তার বাবা মান্নান সিকদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারিক হাকিম আল-ফয়সাল বৃহস্পতিবার জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠান। নারী কনস্টেবল মিমি আক্তার ঢাকা মিল ব্যারাক পুলিশ লাইনে কর্মরত।
এরপর উভয় পরিবারের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। ছেলে-মেয়ের মধ্যে মোবাইলে যোগাযোগ শুরু হয়। মেয়েকে নতুন মোবাইল ফোন দেয়া হয়। মেয়ের পড়াশোনার খরচ ছেলে বহন করতে থাকে। এ ছাড়া চাকরির কথা বলে ছেলের কাছ থেকেও নেয়া হয় টাকা। সর্বমোট মেয়ে ও মেয়ের মা-বাবা ছেলের কাছ থেকে মালামালসহ চার লক্ষাধিক টাকা নেন। এদিকে মিমির পুলিশে চাকরি হয়। কিন্তু সিঙ্গাপুর থেকে ফিরোজ দেশে এসে মিমিকে বিয়ে করতে চাইলে সে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। পরে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে মোবাইল ফোন, স্বর্ণালংকার, বিদেশ থেকে পাঠানো টাকা ফেরত চাইলে মেয়ে ও মেয়ের বাবা-মা তা দিতে অস্বীকার করেন। এ ছাড়া মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দিয়ে ছেলেকে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
এ ঘটনায় ফিরোজের বাবা নুরুল ইসলাম ফরাজী ২০১৮ সালে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিমি ও তার মা-বাবাকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত মঠবাড়িয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জামাল হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত মিমি ও তার বাবা মান্নান সিকদারকে জেলহাজতে পাঠান ও মিমির মা খাদিজা বেগমের জামিন মঞ্জুর করেন।