ভিক্ষার চেয়ে অটো চালানো সম্মানের মনে করেন রাবেয়া
চার সন্তানের জননী রাবেয়া। অনেক আগেই অন্য নারীকে বিয়ে করে স্বামী চলে গেছেন। ছোট মেয়েগুলো নিয়ে সংসারের বোঁঝা রাবেয়ার কাঁধেই। তাই জীবিকার তাগিদে রাবেয়াকে ঘুরাতে হচ্ছে অটোরিকশার চাকা। প্রথম প্রথম লজ্জা হলেও এখন অটো চালাতে খারাপ লাগে না তার। তাছাড়া মানুষের কাছে হাত না পেতে অটো চালানো অনেক সম্মানের মনে করেন পরিশ্রমী এই নারী।
রাবেয়া রাজশাহী নগরীর আমচত্বর এলাকার বাসিন্দা। সন্তানদের নিয়েই তিনি সেখানেই বসবাস করেন। রাবেয়া জানান, তিনি কিছু দিন আগেও জানতেন না তাকে অটোরিকশা চালাতে হবে। সংসার চালানোর জন্যই তিনি অটোরিকশা চালাচ্ছেন। এ পেশায় আসার বিষয়ে তিনি বলেন, উপায় নেই। ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে। তাদের মুখে খাবার তুলে দিতে এর বিকল্প নেই। তাছাড়া অপরের কাছে হাত পাতার চেয়ে অটো চালানো অনেক সম্মানের বলে তিনি জানান।
রাবেয়া বলেন, স্বামী আরো একটি বিয়ে করে সেই নারীকে নিয়ে অন্য জায়গায় থাকে। সে এখানে আসে না। কোনো খরচও দেয় না। উপায় না দেখে অটোরিকশা চালানো শিখেছি। দুই মাস আগে থেকে একটু একটু করে অটো চালানো শিখেছি। এখন রাস্তায় অটো চালাতে পারি।
এখন অটোরিকশা চালানোর টাকা দিয়ে নিজের সংসার চালাচ্ছেন রাবেয়া। এছাড়া সন্তানদের লেখাপড়া চালান। এরমধ্যে মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন এই সংগ্রাম নারী। এখন প্রতিদিন সকালে বেরিয়ে সারাদিন রাবেয়া রাজশাহীর আমচত্বর, নওহাটা, শালবাগান, বায়া এই রাস্তায় অটোরিকশা চালান তিনি।