আর কত যুগ পার হলে বিধবা ভাতা মিলবে কালিগঞ্জের ফাতিমা বেগমের
স্বামী মৃত্যু ৩৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও বিধবা ভাতা পাইনি কালিগঞ্জ উপজেলার মথুরেশপুর ইউনিয়নের দুদলী গ্রামের ফাতেমা বেগম(৫৬)। ব্লাড ক্যান্সার রোগে আক্রান্ত হয়ে তিনটি সন্তান রেখে অকালে মারা যান ফাতেমার স্বামী শরীফ আহমেদ। সেই সময়ে তিনটি সন্তানের মুখে আহার তুলে দেওয়ার জন্য অন্যের বাড়িতে দিন মজুরের কাজ করেছেন তিনি। গত কয়েক বছর আগে অন্যের বাড়িতে কাজ করতে যেয়ে সিঁড়ি থেকে পড়ে যেয়ে একটি হাত ভেঙ্গে যায়। সন্তানদের নিয়ে অনাহারে দিন কাটলেও কোন সরকারি সাহায্য পৌঁছায়নি তার ঘরে।
ফাতেমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, দীর্ঘ ৩৩ বছর আগে তার স্বামী ব্লাড ক্যান্সারে মারা গিয়েছে। অনেক চেয়ারম্যান মেম্বার পরিবর্তন হলেও তার ভাগ্যে জোটেনি একটি বিধবা ভাতা কার্ড। বর্তমানে অসহায় জীবন যাপন করলেও চেয়ারম্যান কিংবা ওয়ার্ড মেম্বার তার কোন খোঁজ নেয়না। তাদের দারে দারে ঘুরেও আজও একটা বিধবা ভাতা পাইনি ফাতেমা বেগম। এলাকার রহিম আলী সফিকুল,জিএম সাকির আহমেদ সহ অনেকে বলেন ফাতেমা একজন অসহায় গরীব মহিলা। কিন্তু সরকারি কোন অনুদান তার ভাগ্যে পৌঁছায়নি।তাকে যদি কেউ একটা বিধবা ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা করে দিত তাহলে কিছুটা হলেও তার আর্থিক সুবিধা হত।
এ বিষয়ে মথুরেশপুর ইউনিয়নের ৮ নাম্বার ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সৈয়দ হেমায়েত আলী বলেন, বিষয়টি তিনি অবগত নন। তবে অতিদ্রুত ফাতেমা বেগমের বিধবা ভাতা কার্ডের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।