শ্যামনগরে ৭দিন ধরে অপহৃত রিমা থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে উদ্ধার
শ্যামনগরে গত ৭দিন ধরে অপহৃত রিমাকে উদ্ধার করেছে শ্যামনগর থানা পুলিশ। অপহরণ করা লম্পট হাফিজুর রহমান পলাতক রয়েছেন।
উপজেলার কৈখালী ইউনিয়নের পশ্চিম শৈলখালি গ্রামের মো. হযরত আলীর স্কুল পড়ুয়া কন্যা মামনি আক্তার রিমা (১৪) গত রবিবার (১৮ ই আগস্ট) নিজ বাসা থেকে সন্ধ্যার পর হারিয়ে যায়। মেয়েটির দাদা মোঃ নহোর আলী নিখোঁজ রিমকে খুঁজে পাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা কামনা করে শ্যামনগর থানা একটি জিডি করেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পুলিশ গত ৭দিন ধরে রিমা’কে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে রবিবার দিবাগত (২৬ শে আগস্ট) রাত্র আনুমানিক দেড়টার দিকে শ্যামনগর সদরস্থ গোপালপুর গ্রামের প্রবাসী রঞ্জুর বাড়ি থেকে রিমাকে উদ্ধার করে।
মামনি আক্তার রিমার ভাষ্য অনুযায়ী, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তার সাথে পরিচয় হয় শ্যামনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, হাফিজুর রহমান হাফিজের সাথে। সেখান থেকেই হাফিজুর প্রেম নিবেদন করে। এক পর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে গোপালপুর রঞ্জুর বাড়িতে আটকে রেখে গত কয়েকদিন ধরে জোরপূর্বক তার সাথে অবৈধ শারীরিক সম্পর্ক (যৌন হয়রানি) করে। এবং এই কাজে সহযোগিতা করে প্রবাসী রঞ্জুর ২য় স্ত্রী আয়েশা খাতুন।
শ্যামনগর থানা পুলিশের সেকেন্ড অফিসার মো. আব্দুর রাজ্জাক ১০/১২ জন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে রঞ্জুর বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। সেখান থেকে বহু বিয়ের হোতা বর্তমান রঞ্জুর ২য় স্ত্রী আয়েশা খাতুন সহ রিমাকে উদ্ধার করতে পারলেও পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চিহ্নিত লম্পট ও প্রতারক হাফিজুর ছাদ থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যায়৷
স্থানীয়দের অভিযোগ, এই বাড়িতে মালিকরা না থাকার সুবাদে প্রায় সময় অপরিচিত ব্যক্তিদের আনাগোনা লক্ষনীয়। তাছাড়া হাফিজুর সহ শ্যামনগরে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সেবারকারীরা এই বাড়ীতে সর্বক্ষণ আশা যাওয়া করে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আনিছুর রহমান মোল্লা বলেন, শ্যামনগরে থানার মেয়ের দাদা একটা জিডি করেছিল নহোর আলী। তিনি মৌখিক ভাবে সার্কেল অফিসে অভিযোগ করেছিলেন। সেখান থেকে শ্যামনগর থানা পুলিশ তাদেরকে খুঁজতে থাকে। গতকাল রাত্রে তাকে গোপালপুরের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। উভয় পক্ষের কাছে শোনা বোঁঝার পরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।