যুবলীগ নেতা হত্যায় অভিযুক্ত দুই রোহিঙ্গা বন্দুকযুদ্ধে নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। নিহতরা যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত বলে জানা গেছে।
শুক্রবার রাতে ফারুক হত্যা মামলার আসামি ধরতে টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে গেলে পুলিশের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে দুটি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), নয়টি শটগানের তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা পাওয়া গেছে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
নিহতরা হলেন- মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডুর সাব্বির আহমেদের ছেলে মুহাম্মদ শাহ ও একই জেলার রাসিদং থানা এলাকার সিলখালির আবদুল আজিজের ছেলে আবদুর শুক্কুর। তারা দুইজনই টেকনাফের হ্নীলার জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ফারুককে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় হত্যা মামলা (৫৯/২০১৯) রুজু করা হয়। মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামিরা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে এ সংবাদের ভিত্তিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাসেল আহমদ শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে অভিযানে যান।
ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে গুলি করতে থাকে। এতে এসআই মনসুর, এএসআই জামাল ও কনস্টেবল (৯৩২১) লিটন গুলিবিদ্ধ হন। পরে পুলিশও পাল্টা ৪০ রাউন্ড গুলি করে। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ফারুক হত্যা মামলার আসামি মুহাম্মদ শাহ ও আব্দুর শুক্কুরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় দুটি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), নয়টি শটগানের তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসাও উদ্ধার হয়।
ওসি আরো জানান, গুলিবিদ্ধ মুহাম্মদ শাহ ও শুক্কুরকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠান। শনিবার ভোরে তাদের নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পৌঁছালে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পৃথক আইনে মামলা করা হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
সূত্র :ডেইলি বাংলাদেশ