শ্যামনগরে বিনাধান-১৯ সম্প্রসারণ ও প্রচারের লক্ষ্যে ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস
বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন আউশ ধানের জাত বিনাধান-১৯ সম্প্রসারণ ও প্রচারের লক্ষ্যে ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২১ আগস্ট) বিকাল ০৪টায় সাতক্ষীরার শ্যামনগনর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী খোসালখালি এলাকায় বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার আয়োজনে ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর শ্যামনগর সাতক্ষীরার সহযোগিতায় পরিবর্তিত আবহাওয়া কর্মসূচির অর্থায়নে বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’র উপপরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস।
মাঠ দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর’র অতিরিক্ত উপপরিচালক (শস্য) মো. জসিম উদ্দিন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মো. নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ পরমানু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট বিনা উপকেন্দ্র সাতক্ষীরার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল-আরাফাত তপু, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মাসুম সরদার প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন শ্যামনগর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. আবুল হোসেন মিয়া, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. জামাল হোসেন, বিনা ১৯ ধান চাষকারী কৃষক মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ।
মাঠ দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ‘বিনা-১৯ ধান চাষকারী কৃষকরা খুবই খুশি। এ এলাকার জমি আগে অনাবাদী থাকতো। বিনা ধান-১৯, ১০০ দিন জীবনকাল সম্পন্ন এ ধান চাষাবাদ করে কৃষক আরো একটি ফসল ঘরে তুলতে পারছে এবং ধান স্বল্প সেচে চাষাবাদ করা যায়। অধিক লাভবান হচ্ছে কৃষকরা এবং এক বছরে তিনটি ফসল উৎপাদন করছে। শ্যামনগরে চাষাবাদের জমি লবণাক্ত হওয়ায় বিনা উদ্ভাবিত ধানের জাত ভাল হয় এবং ফলন বেশি হওয়ায় অধিকাংশ কৃষক বিনা ধান চাষে আগ্রহ বেড়েছে।’
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিবৃন্দ এলাকার কৃষকদের নিয়ে বিনা কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল ও স্বল্প জীবনকাল সম্পন্ন আউশ ধানের জাত বিনাধান-১৯ সম্প্রসারণ ও প্রচারের লক্ষ্যে ফসল কর্তন করেন। এসময় কৃষি কর্মকর্তা ও এলাকার কৃষক কৃষাণীরা উপস্থিত ছিলেন। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন উপসহকারী কৃষি অফিসার মাহফুজুর রহমান।