আবারও চাম্পাফুলের মামলাবাজ শ্যামলীর মিথ্যা মামলার শিকার সাধারণ জনগণ
সম্প্রতি কালিগঞ্জের চাম্পাফুল ইউনিয়নের মামলাবাজ শ্যামলী সাতক্ষিরার বিজ্ঞ আমলী আদালত নং-২ (কালিঃ); তে সি আর পি ৬৯/১৯(কালিঃ) নং এর একটি পিটিশন দায়ের করেছেন।
যাহাতে কালিগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলার আট জন নিরীহ খেটে খাওয়া মানুষ সহ সাংবাদিকদের আসামী করা হয়েছে।
পিটিশনের বাদিনী শ্যামলী নন্দী সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল ইউনিয়নের সাইহাটী গ্রামের দিলীপ নন্দীর মেয়ে।
ওই পিটিশনে আশাশুনি উপজেলার গোদাড়া গ্রামের মৃত সৈয়দ আলীর ছেলে কলা বিক্রেতা আম্বিয়ার রহমান (৬২),সোদকোনা গ্রামের মৃত শহর আলীর পুত্র দ্বয় ভাটা শ্রমিক হামিদ(৪৮),ভ্যানচালক মান্নান(৪২),কালিগঞ্জ উপজেলার চাম্পাফুল গ্রামের স্বর্গীয় তারক সরকারের ছেলে দিন মজুর অশোক সরকার(৬০),অশোক সরকারের ছেলে শহরের এন জি ও কর্মচারী সুদীপ্ত (২৭),সাবেক সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনির(৩৪),ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ব্যবসায়ী আজিম খান(২৩) এবং সাংবাদিক তারিকুল ইসলাম (২৭) গনকে আসামী করা হয়েছে।বিজ্ঞ আদালত পিটিশনটির তদন্ত কর্মকর্তা নির্ধারণ করেছেন কালিগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শারমীন আক্তার কে।
তদন্তের স্বার্থে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা বাদিনী এবং বিবাদীগন কে লিখিত নোটিশ করেন অদ্য ২১/০৮/২০১৯ ইং তাহার দপ্তরে হাজির হইবার জন্য।বিবাদী গন হাজির হইলেও খোজ মেলে না বাদিনী মামলাবাজ শ্যামলীর।এমনকি ওই পিটিশনে যাদেরকে সাক্ষী বানিয়েছেন তারাও এ প্রতিনিধিকে ঘটনা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং শ্যামলী পেশাদার মামলাবাজ বলে জানিয়েছেন।পরবর্তীতে তদন্ত কর্মকর্তা পুনরায় হাজির হইবার দিন ধার্য করেন।
বিবাদীগন মামলাবাজ শ্যামলীর এমন মিথ্যা হয়রানীর জন্য হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন এবং তদন্ত কর্মকর্তা (কালিগঞ্জ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা) সহ জন প্রতিনিধি ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগনের নিকট হাজারো সাধারণ মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা পিটিশন দিয়ে হয়রানী করা মামলাবাজ শ্যামলীর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন।
তবে এ সম্পর্কিত তথ্যের জন্য বাদিনী শ্যামলীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হইলে তিনি মোবাইলের রিং কেটে দিয়ে মোবাইল বন্ধ করে রাখেন।