তালায় এসিড দগ্ধ স্বামী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে:স্ত্রীর নামে মামলা
গভীর রাতে বদ্ধ ঘরে আলামিন নামে এক যুবকের শরীরে এসিড নিক্ষেপের ঘটনায় স্ত্রীর নামে মামলা হলেও প্রাথমিকভাবে স্ত্রীর কাছ থেকে কোন স্বীকারোক্তি মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। এঘটনায় এসিড দগ্ধ যুবকের পিতা সাত্তার গাজী নিজে বাদি হয়ে তার পুত্রবধূ আশা ওরফে হাফসাকে আসামী করে তালা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১, তারিখ-১১/০৮/২০১৯খ্রিঃ।
তালা থানার এসআই প্রীতিশ রায় বলেন, ১১ আগস্ট সকালে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আশা ওরফে হাফসাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তালা থানায় নিয়ে আসি। পরে মামলা হলে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার ঈদের দিন আদালতের মাধ্যমে সাতক্ষীরা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এসিড দগ্ধ আলআামিনের স্বজন রুহুল আমিন এ প্রতিবেদককে বলেন, আলআমিনের শরীরের ৪০ শতাংশ পুড়ে যাওয়ায় সে এখনো শংকামুক্ত নয় বলে আশংকা করছে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটের চিকিৎসকরা।
প্রসঙ্গত, ১১ আগস্ট মধ্য রাত ১ টার দিকে ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় আলআমিন নামে এক যুবকের শরীর এসিডে ঝলসে যায়। তবে কে বা কারা ঘটিয়েছে এমন ঘটনা তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। সে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চরকানাইদিয়া গ্রামের সাত্তার গাজীর ছেলে।
এব্যাপারে তালা থানার তদন্ত ওসি আবুল কালাম আজদ এ প্রতিবেদককে বলেন, এসিড দগ্ধ আলাআমিনের পিতা বাদী হয়ে ১১ আগস্ট তালা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যে মামলায় এসিড দগ্ধ আল আমিনের স্ত্রী আশা ওরফে হাফসকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদলতের মাধ্যমে জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে। আশা ওরফে হাফসা প্রাথমিক জিঞ্জাসাবাদে আমাদের কাছে কোন স্বীকারোক্তি না দেওয়াই পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদলতে আবেদন পাঠানোর প্রস্তুতি নিয়েছি।