বুধহাটা প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা
আশাশুনি উপজেলার ২২ নং বুধহাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলহাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে আদালতে মামলা রুজু করা হয়েছে।
বুধহাটা গ্রামের মৃত আঃ জব্বার গাইনের পুত্র সেলিম রেজা বাদী হয়ে বিজ্ঞ অতিঃ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সাতক্ষীরায় দক্ষিণ চাপড়া গ্রামের সালাউদ্দিন সরদারের পুত্র ও উক্ত প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক জুলহাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে পি- ১০০৬/১৯ নাং মামলা রুজু করেন। মামলার আরজিতে বলা হয়েছে, বুধহাটা মৌজার এসএ ৪৭১ খং ৪৭০দাগে ১.২০ একর জমি তুল্যাংশে যাহা ইউসুফ গাইন, আঃ জব্বার গাইন, মেছের গাইনের নামে।
উক্ত জমির মধ্যে উত্তর পার্শে ৪০ শতক জমি ইউসুফ প্রাপ্ত হয়ে ভোগদখলীকার থাকে। জমির দক্ষিণ পাশের ৩০ শতক জমি প্রথমপক্ষের পিতা ও চাচা মেছের আলির থাকে। ইউসুফ গাইনের ৪০ শতক জমির উপর বুধহাটা প্রাইমারী স্কুল অবস্থিত। প্রথম পক্ষের পিতা ও চাচা তাদের ৮০ শতক জমিতে ঈদগাহ ও খেলার মাঠ হিসাবে সর্ব সাধারণের ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন।
এবং বহু বছর যাবৎ ঐ ৮০ শতক জমিতে ঈদের নামাজ, ইসলামী মাহফিল ও বাচ্চারা খেলা ধুলা করে আসছে। কিন্তু দ্বিতীয় পক্ষ তাদের ক্ষমতার অব্যবহার করে উক্ত ঈদগাহসহ খেলার মাঠ জবর দখল করে সেখানে বিল্ডিং নির্মানের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, এলাকার হাজার হাজার মানুষ মানববন্ধনসহ তাদের অবৈধ কাজে বাধা প্রধান করতে গেলে মিথ্যা মামলায় ঢুকিয়ে দেওয়ার হুমকী ধামকী দিয়ে আসছে। দ্বিতীয় পক্ষ ৪/৮/১৯ তাং হঠাৎ করে জমিতে অনুপ্রবেশ করে মাপজোক করতে থাকলে প্রথম পক্ষ বাধ সাধলে তারা কাজ বন্ধ করে দেয়। তখন তারা জমিদখলের জন্য খুন জখমের ঘোষণা দেয়।
তাদের দ্বারা জমিতে গুরুতর শান্তি ভঙ্গের সম্ভাবনা বিদ্যমান থাকায় আদালতে ফৌঃকাঃবিঃ ১৪৫ ধারা মোতাবেক প্রসিডিং স্থাপন করে নালিশী ভূমির দখল ব্যবহার ১ম পক্ষের বরাবরে রাখার ব্যবস্থা নিতে আবেদন করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে শান্তিশৃংখলা বজায় রাখা এবং এসি (ল্যান্ড) আশাশুনিকে নালিশী সম্পত্তির দখল বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন। ২য় পক্ষকে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।