ভাই কর্তৃক স্বামী ও ভাসুরকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার প্রতিবাদে বোনের সংবাদ সম্মেলন

শ্যামনগরে দীর্ঘ দিনের যাতায়াতের পথ নিয়ে আপন ও চাচাতো ভাই কর্তৃক স্বামী-ভাসুরকে মারপিট এবং মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন শ্যামনগরের জাহাজঘাটার অজিবর ইবনে আবেদ আলীর স্ত্রী রাশিদা খাতুন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন ১৯৯৯ সালে পারিবারিক ভাবে আমাদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। বর্তমানে ২ পুত্র ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে আমাদের। কিন্তু সম্প্রতি পাইকগাছা থেকে উড়ে আসা আমার চাচা আদম আলী এবং তার কু-পুত্র বাবু(রমজান) এর

উস্কানিতে আমার স্বামী এবং তার পরিবার আজ চরম উদ্বিগ্নতার মধ্যে রয়েছে। তাদের কু পরামর্শে আমার আপন ভাই মোমিনুর(মনিরুল) আমার শ্বশুর বাড়ি যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করার পায়তারা শুরু করে। অথচ কয়েক যুগ ধরে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ও পাড়ার অন্যান্য মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন। অন্য মানুষ হাটলে সমস্যা নেই। শুধু আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হাঁটলে সমস্যা। সে কারণে কয়েক বছর পূর্বে আমার স্বামী-শ্বশুর পাশবর্তী সাজিদা খাতুনের কাছ থেকে অর্ধশতক জমিও ক্রয় করে রাস্তায় দিয়েছেন। তারপরও ইউনিয়ন পরিষদ

কর্তৃক রাস্তাটির সংস্কার করার জন্য আসলেও আমার ভাই মনিরুল, চাচা আদম আলী ও তার পুত্র বাবু তাদের কাজে বাঁধা দেয়। এর জের গত ২৫ জুলাই মেম্বর সাহিদ এসে রাস্তা পাকা করণে বিষয়ে আলোচনা করেন। সে সময় আমার ভাই মনিরুল, চাচা আদম আলী ও চাচাতো ভাই বাবু জোরপূর্বক আমার দেবরের ঘরের গাঁ ঘেঁষে রাস্তা তৈরির প্রস্তাব দেন। অথচ পুরো রাস্তা ৯ফুট। পাকা হবে ৬ ফুট। তাহলে দু পাশেই দেড় ফুট

করে ফাঁকা থাকার কথা। কিন্তু তারা সেটা না মেনে জোরপূর্বক তাদের পাশে ৩ফুট ফাঁকা রাখার অযৌক্তিক দাবি করেন। এতে ভাসুর মুজিবুর রহমান প্রতিবাদ করলে মোমিনুর, আমিনুর, নুর মোহাম্মাদ, মিয়ারাজ, আসলাম, ইয়াছিন গং তাকে মারপিট করে। তারা আমাদেরকেও মারপিট করে। এতে আমার ভাসুর গুরুতর ফোলা জখম হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তিনি আরো বলেন তারা এতটাই নিকৃষ্ট যে, ভাসুর ও স্বামীসহ

আমাদের মারপিট করে আবার উল্টো থানায় গিয়ে ওই চাচা আদম আলী ও তার কু-পুত্র বাবু এর উস্কানিতে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। পিতা এবং শশুর বাড়ি পাশাপাশি হলেও শান্তিতে ছিলাম। কিন্তু ওই চাচা আদম আলী মুক্তিযোদ্ধা হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে আমাদের একের পর এক হয়রানি করে যাচ্ছে। সে অন্যয় করলেও মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নিতে চায় না। তাদের অত্যাচারে

স্বামী,ভাসুর ও পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। পিতা মুক্তিযোদ্ধা হলেও বাবু জামায়াত নেতা। এতে যখন বিএনপি জামায়াত ক্ষমতায় আসে তখনও নির্যাতন করে আওয়ামীলীগ আসলে পিতার পরিচয়কে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আমাদের সহ এলাকার নিরিহ মানুষকে হয়রানি করে। অথচ আমার স্বামী ও তার ভাইয়ের সাবেক এমপি ফজলুল হক সাহেবের হাত ধরে আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে যুক্ত হন।

এব্যাপারে তিনি চাচা এবং ভাইদের অত্যাচার থেকে স্বামীর পরিবারকে রক্ষার দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)