চাচা ও চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সামান্য জমির জন্য একজন চাচা কিভাবে তার আপন ভাতিজির চরিত্রে কলঙ্ক লেপন করতে পারেন এই প্রশ্ন তুলেছেন একজন শিক্ষানবিশ নারী আইনজীবী। একই সাথে একজন ইউপি চেয়ারম্যান কোন কান্ডজ্ঞানে একজন নারী সম্পর্কে আপত্তিকর ভাষার সাথে একমত হয়ে সুপারিশ করতে পারেন । আর এসব নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বাহবা পাবার আশায় মেতে উঠেছেন ওই চাচা ও তার সহযোগীরা। আমি এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাতক্ষীরার কলারোয়ার কয়লা ইউনিয়নের আলাইপুর গ্রামের আবুল কাসেম ওরফে রন্টুর মেয়ে শিক্ষানবিশ আইনজীবী সাবিনা ইয়াসমিন পলি। তিনি বলেন তারা যে ভাষা ব্যবহার করে তার চরিত্র হনেনের চেষ্টা করেছে তাতে আমার কাছে মৃত্যুই শ্রেয়।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন,আমার স্বামী যশোরের শালকোনা গ্রামের আল মামুন আমার অমতে দ্বিতীয় বিয়ে করায় তার সাথে আমার বৈবাহিক বিচ্ছেদ ঘটে। সেই থেকে আমি বাবার বাড়িতে চলে আসি দুই সন্তানকে নিয়ে। আমি বার কাউন্সিলের পরীক্ষার প্রস্তুতির পাশাপাশি এলাকার দরিদ্র মানুষের সহায়তায় কাজ করতে থাকি। তিনি বলেন ভাংড়ি কুড়ানোর পেশায় নিয়োজিত মহব্বত থানের ছেলে মিজানুর রহমানের জমি কয়লা ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন ও তার ঘনিষ্ঠজন নুরুল ইসলামের সহযোগী অজিয়ার শেখের ছেলে অহিদুজ্জামান বাচ্চু দখল করার চেষ্টা করে। তারা দরিদ্র মিজানকে মারপিটও করে। মিজানকে আমি আদালতের শরণাপন্ন হবার পরামর্শ দিলে চেয়ারম্যান ইমরান ও তার সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন।

সংবাদ সম্মেলনে পলি আরও বলেন,তার চাচা আবু হোসেন খান মন্টু ৩০ বছর বাইরে থেকে ব্যাংকিং চাকুরি শেষে বাড়ি ফিরে নিজের জমিতে গেলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের মারপিট করে চাচা আবুল হাসান খান পিন্টু। আমি নিজে মন্টু চাচার পক্ষ নেওয়ায় ফের ক্ষিপ্ত হয় পিন্টু চাচা ও তার ছেলে আরিফ খান, বাবু খান ও সাঈদ খান। এই দুটি বিষয়ে এবং আমার স্বামীর সাথে বিচ্ছেদের কারণে চেয়ারম্যান ইমরান, মোশতাক খান, আক্তার খান, আরিফ খান, ইয়ান খান, আজিম খান, টুটুল খান প্রায়ই আমাকে উত্ত্যক্ত করতো। তারা আমাকে কুপ্রস্তাব দিলে আমি তা ঘৃণাকরে প্রত্যাখ্যান করি। তাদের হীন মানসিকতার প্রতিবাদ করি। পিন্টু চাচা,তার ছেলেরা ও চোরাকারবারি নুরুল একজোট হয়ে আমার চরিত্র নিয়ে নানা ধরনের কুরুচিপূর্ণ কথাবার্তা রটাতে থাকে। এ নিয়ে পলি কলারোয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে পলি বলেন আমি একজন নারী। একজন নারী হিসাবে যেটুকু সম্মান পাবার যোগ্য তা আমি পেতেই পারি। আমি কোনো অন্যায্য কাজ করে থাকলে তার প্রতিবাদ হতেই পারে। কিন্তু তাই বলে আমার নামে কলঙ্ক রটিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাকে সামাজিকভাবে হেয় করার অধিকার কারও নেই। অথচ সেই কাজটিই করেছেন আমার চাচা আবুল হাসান খান পিন্টু , তার ছেলেরা ও তার সহযোগীরা। তারা জেলা প্রশাসকের কাছে গনশুনানীর জন্য একটি আবেদন দিয়েছেন। এই আবেদনে অসত্য বানোয়াট কল্পিত এবং মানহানিকর বিশেষ করে একজন নারীর চরিত্র হননের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত কথা লেখা হয়েছে। আর তাতে সুপারিশ ও সিল মেরে সই করে সম্মতি দিয়েছেন কয়লা ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান হোসেন। সামান্য জমির লোভে তারা একজন নারীকেও অপমান করতে ছাড়েনি বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন আরিফ খান , সাঈদ খান, বাবু খান চিহ্নিত চোরাকারবারি। আর তাদের গডফাদার নুরুল মানবপাচার মামলার আসামি। একজন নারী সম্পর্কে কোন ভাষা ব্যবহার করা যায় না যায় তা বিবেচনা না করেই তারা আমার ওপর কলঙ্ক চাপিয়ে ফায়দা লুটবার চেষ্টা করেছেন। আর তাদের সহায়তা দিয়েছেন ইমরান হোসেন নামের এক চেয়ারম্যান।

সাবিনা ইয়াসমিন পলি এসবের প্রতিকার দাবি করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেছেন। প্রয়োজনে তিনি এ ব্যাপারে আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলেও জানান পলি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)