আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের প্রত্যহারের দাবীতে স্মারকলিপি পেশ
আশাশুনি সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মিজানুর রহমানের প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষা সচিব বরাবর স্মারকলিপি প্রদার করা হয়েছে। সোমবার (২২ জুলাই) কলেজের সকল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর কাছে এ স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হয়।
কলেজের অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়ে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর আলিফ রেজার হাতে শিক্ষা সচিব
বরাবর স্মারকলিপিটি হস্তান্তর করেন। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ঐতিহ্যবাহী কলেজটি ২০১৭ সালে জাতীয়করণ করা হয়। মিজানুর রহমানকে ৭/১১/১৭ তাং সংযুক্ত অধ্যক্ষ হিসাবে নিয়োগ/পদায়ন করা হয়। কিন্তু পরদিন ৮/১১/১৭ তাং শিক্ষা মন্ত্রণালয় তাকে জয়পুরহাট কলেজে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ/পদায়ন করে। উক্ত আদেশ গোপন করে তিনি ১১/১১ তাং আশাশুনি কলেজে যোগদান করেন।
এখানে যোগদানের পর হতে তিনি স্বেচ্ছাচারিতা ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে কলেজকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলেন। তার আচরণে ২৯/১১/১৭ তাং উপজেলা পরিষদের সভায় তার বিরুদ্ধে নিন্দা জানিয়ে রেজুলেশন করা হয়েছিল। তিনি জুন/১৭ ও আগষ্ট/১৭ মাসে নির্বাচনী পরীক্ষার নামে ভুয়া পরীক্ষা দেখিয়ে ২২ হাজার ৮শ’ টাকা সম্মানী বাবদ গ্রহন করে আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া তার বিরুদ্ধে বড় অংকের উৎকোচ নিয়ে ৩
জন শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করান, শিক্ষক জাতীয়করণ ও আত্মীয়করণে বাধা সৃষ্টি, বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান না করা, কলেজের সরকারি রেস্ট হাউজে বসবাস করেও ভাড়া না দেওয়া, কলেজের গাছ থেকে আম পাড়ার অপরাধে শিশুকে নির্যাতন করা, ২০১৯ সালে ৭টি বিষয়ে প্রাকটিক্যাল পরীক্ষার নামে ছাত্র প্রতি ৫০ থেকে ১০০ টাকা করে আদায় করা, ছাত্রীদের জন্য কমনরুম ব্যবস্থা না করা, নিজের মনগড়া
ও ম্যানুয়াল পরিপন্থ’ী একাডেমীক কাউন্সিল গঠন, কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার প্রত্যক্ষ হুমকী প্রদান, শিক্ষকদের নিকট থেকে প্রাইভেট পড়ানো বাবদ ১০% টাকা আদায় করলেও অদ্যবধি সরকারি কোষাগারে জমা না দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে অভিযোগ তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ এবং অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহারের জোর দাবি জানানো হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্মারকলিপি গ্রহন করে যথাস্থানে পৌছানোর ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস প্রদান করেন।