রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতার দাবিতে কেশবপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকায় গত ১ সপ্তাহ যাবত পৌরবাসি সেবা থেকে বঞ্চিত
রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে বেতন-ভাতার দাবিতে কেশবপুর পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঢাকায় অবস্থান করে আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এখানকার পৌর নাগরিকরা। বাংলাদেশ পৌরসভা সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকে দেশের ৩২৮টি পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গত ১৪ জুলাই থেকে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে।
আন্দোলনের ফলে পৌরসভার সেবা প্রত্যাশীরা পৌরসভায় এসে বিভিন্ন দপ্তরে তালা ঝোলানো দেখে ফিরে যাচ্ছে। এতে এলাকার চাকরি প্রত্যাশীসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে নাগরিক সনদপত্র, জন্মনিবন্ধন সনদ, ব্যবসায়ীসহ যানবাহনের মালিকদের ট্রেড ও রোড পারমিট লাইসেন্স, ভূমি খারিজের ওয়ারিশান ও পারিবারিক সনদসহ বিভিন্ন দরকারি প্রত্যায়নপত্র না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে। গত ১ সপ্তাহ যাবৎ পৌরসভার
আবর্জনা ও ডাস্টবিনে ফেলে রাখা পৌরবাসির বাসা-বাড়ির ময়লা পরিষ্কার না করায় সারা শহরে আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়ে পড়েছে। পঁচা দূর্গন্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে আন্দোলনরত পৌর কর্মকতা-কর্মচারীদের একটি সূত্র জানায়, রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে জনপ্রতিনিধিদের সম্মানীভাতা এবং কর্মকর্তা-
কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের দাবিতে তারা প্রায় দুই বছর ধরে আন্দোলন করে আসছেন। পৌরসভার নিজস্ব আয় থেকে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানের যে বিধান রয়েছে, এতে দেশের প্রায় ৮০ ভাগ পৌরসভা তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারে না।
এর ফলে দেশের অধিকাংশ পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়মিত বেতন-ভাতা না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য হচ্ছে। তারা এ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে সরকারি কোষাগার থেকে তাদের এবং মেয়র-কাউন্সিলরদের বেতন-ভাতার দাবিতে চলমান আন্দোলনে অংশ নিয়েছে বলে জানায়।
তারা তাদের আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে আরো জানায়, দেশের সংবিধান অনুযায়ী পৌরসভা রাষ্ট্রীয় তথা সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং তাতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী। শহরকেন্দ্রিক অবকাঠামো উন্নয়ন, পরিচ্ছন্নতা, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, পয়ঃনিষ্কাশন, সড়ক আলোকিত করা, ওয়ারিশান সনদ, নাগরিক সনদ, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদ, পরিবেশ ছাড়পত্রসহ অর্ধশতাধিক ধরনের সেবা
নাগরিকদের দিয়ে থাকে পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে গত ১ সপ্তাহ যাবৎ পৌরসভার আবর্জনা ও ডাস্টবিনে ফেলে রাখা পৌরবাসির বাসা-বাড়ির ময়লা পরিষ্কার না করায় সারা শহরে আবর্জনার স্তুপে পরিণত হয়ে পড়েছে। পঁচা দূর্গন্ধে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে অনেকেই অসুস্থ্য হয়ে পড়েছে।