বুড়িগোয়ালিনী ইউপি চেয়ারম্যান ইউপি সদস্য বিদ্যুৎ দেওয়ার নাম করে ১৫৭ পরিবারের কাছ থেকে টাকা নেয়ার অভিযোগ
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুযায়ী ২০২১ সালের মধ্যে বিনামূল্যে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকার থাকলেও সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর বুড়িগোয়ালিনীতে হচ্ছে তার ভিন্নটা। প্রতিটি ঘরে তিন মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়ার নাম করে ১৫৩ টি পরিবার থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে দুই বছর পার হয়ে গেলেও বিদ্যুতের সোয়াপায়নি ১৫৩ টি পরিবার। সরেজমিনে,১৫৩ টিপরিবারের হিরামন মাঝি,
তপন মাঝি, কার্তিক মুখার্জী, দিলীপ মাঝি লিখিত অভিযোগে জানা যায়,ইউপি সদস্য আবদুর রউফ ও চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল তিন মাসের মধ্যে বিদ্যুৎ দেয়ার নাম করে আমাদের কাছ থেকে ৫ শত করে টাকা নেয় কিন্তু দুই বছর পার হলো বিদ্যুৎ আশা তো দূরের কথা
বিদ্যুৎতের সোয়া পাওয়া পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে না। চেয়ারম্যান ভবতোষের কথামত আমরা ইউপি সদস্য আবদুর রউফের কাছে টাকা দেয়। আমাদের দেয়া টাকার তালিকায় চেয়ারম্যান ভবতোষ বুঝিয়া পাইলাম বলে একটি স্বাক্ষর রয়েছে। বিদ্যুৎ দেয়ার নামে টাকা নেয়ার অভিযোগ
ইউপি সদস্য আবদুর রউফের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,চেয়ারম্যান আমাকে নিয়ে বুড়িগোয়ালিনী মাঝিপাড়া কালীবাড়িতে ৪/৪/১৭ তারিখে মিটিং করিয়ে বিদ্যুৎ দেওয়ার কথা বলে আমার কাছে টাকা দিতে বলে আমি টাকা উঠিয়ে স্থানীয়দের সম্মুখে চেয়ারম্যান ভবতোষ
বাবুর কাছে ১৭/৪/১৭ তারিখে ৮৯ হাজার টাকা দিয়ে দেয় আমি এর বেশি আর কিছু জানি না । এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান ভবতোষ মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলব। রক্ষক যদি ভক্ষক হয় সাধারণ মানুষ যাবে কোথায় এরকম প্রশ্ন্ন
ভুক্তভোগীদের ।আবার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মাইকিং ,লিফলেট ,বিতরণ করে বিদ্যুৎতের নামে কোন টাকা লেনদেন না করার জন্য ঘোষণা দেন। সাধারণ মানুষ যাবে কোথায় সাতক্ষীরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ও সংশ্লিষ্ট দালাল চক্রের কাছে সাধারন মানুষ একেবারেই অসহায় হয়ে পড়েছে।
নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ পাওয়ার জন্য দালালদের কথার পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে। ভুক্তভোগীরা টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন।