প্রতিবন্ধী ভ্যান চালককে খুন জখম ও মিথ্যা মাদক মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন
সাতক্ষীরা সদরের খড়িবিলায় প্রতিবন্ধী ভ্যান চালককে খুন জখম ও মিথ্যা মাদক মামলায় জড়িয়ে হয়রানির হুমকির অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন পৌরসভার খড়িবিলা এলাকার আখের আলীর প্রতিবন্ধী পুত্র আব্দুল হক।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, আমি একজন অসহায় প্রতিবন্ধী। কার্ড নং-১৯৭৩৩২৭৭৬৯৩৩৮২-০২। আমি কোন রকমে ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি। পলাশপোল মৌজায় আমার ৪৩১১, ৪৩১২, ৪৩১৩ দাগে ক্রয় সূত্রে সাড়ে ১৪ শতক সম্পত্তির মালিক আমি। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু, খড়িয়াবিলা এলাকার মারজেন আলীর পুত্র আবুল কাশেমের নেতৃত্বে খড়িবিলা এলাকার মৃত. রাজাউল্লাহর পুত্র জাম্মাদ আলী, মৃত. মফেজ উদ্দীন সরদারের পুত্র আকছেদ আলী, জাহান আলীর পুত্র একাধিক অস্ত্র মামলার আসামী মাদক সেবী সুজিবার রহমান গং আমার ওই সম্পত্তি অবৈধভাবে দখলের চেষ্টা চালায়। কিন্তু দখলে ব্যর্থ হয়ে আমাকে খুন,জখমসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানির ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয় এবং প্রকাশ্যে হুমকি ধামকি প্রদর্শন করতে থাকে। একপর্যায়ে আমি জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে গত ২৮/৫/১৯ তারিখে সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করি। যার নং- ১৫৫৭।
তিনি বলেন একই দাগের সাড়ে ১২ শতক সম্পত্তির মালিক ছরিমুননেছার সম্পত্তি দখল করে কাউন্সিলর কালুর নেতৃত্বে আবুল কাশেম, জাম্মাদ আলী, সুজিবার রহমানসহ তার সহযোগীরা। এঘটনায় গত ০৮/০৭/২০১৯ তারিখে একই দাগের অংশীদার শহরের কাটিয়া এলাকার ছরিমুননেছার পুত্র শরিফুল ইসলাম তার মায়ের সম্পত্তি দখলের বিষয়ে কালু ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি সংবাদ সম্মেলন করে। এঘটনায় কাউন্সিল কালু তার সহযোগী আবুল কাশেম, আকছেদ আলী, জাম্মাদ আলী ও সুজিবার রহমান আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। তাদের ধারনা শরিফুলের সংবাদ সম্মেলনের সাথে আমি জড়িত। এরপর থেকে তারা আমাকে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করতে থাকে এবং প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকি প্রদর্শন করতে থাকে। একপর্যায়ে গত ১৫/৭/২০১৯ তারিখ রাত সাড়ে ৮টার দিকে কাউন্সিলর কালুর সহযোগী আব্দুল মোক্তারের পুত্র আব্দুল আলিম পুলিশকে ভুল বুঝিয়ে আমার বাড়িতে মাদক দ্রব্য রাখা আছে মর্মে তাদের ডেকে নিয়ে যায়। কিন্তু পুলিশ আমার বাড়িতে কোন প্রকার মাদকদ্রব্য না পেয়ে চলে আসে।
পুলিশ চলে আসার পর গোপনে আমি জানতে পেরেছি কালুর সহযোগীরা আমার বাড়িতে মাদকদ্রব্য রেখে পুলিশ দিয়ে আটক করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। এর জের ধরে তারা পুলিশ নিয়ে আমার বাড়িতে যায় আলিম। কিন্তু পুলিশের মানবিকতা এবং স্থানীয় মানুষের উপস্থিতিতে সে ষড়যন্ত্রে তারা সফল হতে পারেনি। এঘটনায় আমার পরিবারসহ এলাকাবাসী অবাক হয়েছেন। কারণ আমি জীবনে কোন বিড়ি সিগারেট খাইনি। অথচ আমার বাড়িতে মাদকদ্রব্য রেখে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছে। এছাড়া কালুর বাহিনীর ভয়ে আমার ওই সম্পাত্তিতে আমি যেতেও পারছি না। আমি আশংকা করছি সেখানে গেলে তারা আমাকে খুন জখম করতে পারে। উল্টো মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে আমাকে হয়রানি করবে। সন্ত্রাসী কালু ও তার সহযোগীরা আমাকে সর্বশান্ত করে আমার জমি দখল করার জন্য খুন ,জখম, বাড়িতে মাদক রেখে পুলিশ দিয়ে হয়রানিসহ যে কোন ধরনের হীন চক্রান্ত করতে পারে। আমি এবং আমার পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছি। তিনি ওই সন্ত্রাসী কালু ও তার সহযোগীদের হাত থেকে রক্ষা পেতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার ও জেলা প্রশাসক সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।