দেবহাটায় সাইক্লোন শেল্টার সংস্কারে অনিয়মের অভিযোগ
সরকারি প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ থাকলেও, সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম সহ কেবল নামমাত্র রং করেই দেবহাটার চালতেতলা সাইক্লোন শেল্টার সংস্কারের কাজ শেষ করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আশা এন্টারপ্রাইজের বিরুদ্ধে। উপজেলার অন্যতম দুর্যোগ প্রবণ ও প্রত্যন্ত এলাকা হওয়ায় চালতেতলা সাইক্লোন শেল্টারটিতে যেকোনো দুর্যোগের সময় আশ্রয় নেয় শত শত মানুষ। ফলে অল্প সময়ের মধ্যেই সাইক্লোন শেল্টারটি সংস্কারের প্রয়োজন দেখা দিলে চলতি বছরের ১৫ই মে প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের আওতায় ৯ লক্ষ ৯৫ হাজার ৬৯০ টাকা বরাদের সংস্কার কাজটি টেন্ডারের মাধ্যমে পায় নাংলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আশা এন্টারপ্রাইজ। কিন্তু কাজ শুরুর পর উল্লেখ যোগ্য কোন সংস্কার ছাড়াই তড়িঘড়ি করে কেবলমাত্র রং দিয়েই দায়সারাভাবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি সাইক্লোন শেল্টারের সংস্কার কাজ শেষ করেছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি নিয়ম মোতাবেক সাইক্লোন শেল্টারের গোটা বিল্ডিংটির দেয়ালের নষ্ট হওয়া প্রত্যেকটি স্থান নতুনভাবে মেরামত করে এবং যাবতীয় আসবাব পত্র ও ইলেকট্রিক লাইনের সমস্যা সমাধান সহ বৈদ্যুতিক বাল্ব, সুইজ ইত্যাদি পরিবর্তন এবং গেট-গ্রীলের মরিচা তুলে ফেলার পর ভবনটি নতুনভাবে রং করণ করার নিয়ম থাকলেও, শুধুমাত্র রং দিয়েই প্রায় ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দের সংস্কার কাজ দায়সারাভাবে শেষ করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এমনকি সাইক্লোন শেল্টারের ভিতরের বৈদ্যুতিক বাতিগুলোও এখনও নষ্ট ও ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে। আর বাইরের এনার্জি সেভিং বাল্বগুলো খুলে নিয়ে সেখানে লাগিয়ে দিয়েছে নিন্মমানের ৬০ ওয়াটের বাল্ব। আর নষ্ট আসবাব পত্র গুলো সেভাবেই ফেলে রেখে সংস্কার শেষ করে বরাদ্দের অর্থ পকেটস্থ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ ব্যাপারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী মাহমুদুল হক লাভলু বলেন, সংস্কার কাজ মানেই ফাঁকিজুঁকি। পিআইও স্যার কাজ দেখে নিয়েছেন। আর সাইক্লোন শেল্টারে বাল্ব লাগিয়েছিলাম কিন্তু এলাকার চোর হয়তো সেগুলো চুরি করে নিয়ে গেছে।