প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব অর্থায়নে জেলা পরিষদের পুকুর খননে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অনিয়মের অভিযোগ
শ্যামনগর উপজেলার উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষেরা সুপেয় পানির তীব্র সংকট মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। প্রতিনিয়ত তার সুপেয় পানির জন্য জীবন সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি আইলার পরে তীব্র পানির সংকট দেখা দেয়। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারের যুগান্তরী পদক্ষেপের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব অর্থায়নে উপকূলীয় অঞ্চলের সুপেয় পানির জন্য একটি বড় ধরনের ব্যবস্থার জন্য জেলা পরিষদের যে সকল পুকুর রয়েছে সেগুলো পুনঃখননের জন্য বাজেট প্রস্তাবিত হয়। কিন্তু একদল ঠিকাদার ও কাজের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকতাকে ম্যানেজ করে নিজেদের ক্ষমতার জোরে জেলা পরিষদের সদস্যদের তোয়াক্কা না করে।
সরকারি নিয়ম নীতি না মেনে বহাল তবিয়তে অনিয়ম করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সরজমিনে দেখা যায় বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়ন এ নীলডুমুর জেলা পরিষদের পুকুর খননে বিরাট অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। সমতল ভূমি থেকে ২০ ফুট উচ্চতার স্থলে ১৩ থেকে ১৩ ফুট রয়েছে এছাড়া পাইলিং এর জন্য ৯ ফুট লম্বা বলি পোতার কথা থাকলেও কোন কোন স্থানে ৫ ফুট ৬ ফুট ৭ ফুট করে বলি পুতে দিচ্ছে এবং প্লেন সিট এর পরিবর্তে নিম্নমানের টিন দিয়ে পাইলিং এর কাজ শেষ করেছে।
স্থানীয় জেলা পরিষদের সদস্য ডালিম ঘরামি অভিযোগ করে বলেন, আমাদের জেলা পরিষদের জায়গায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে পুকুর খনন করছে সরকারি বাজেট অনুযায়ী যে কাজ করার কথা ছিল তার এক তৃতীয়াংশ কাজ দৃশ্যমান হয়নি। এছাড়া তিনি আরো বলেন, স্থানীয় কিছু মহলকে ম্যানেজ করে কাজের ঠিকাদার নিয়ম বহির্ভূত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সরকারি কাজ শুরু হওয়ার আগে কাজের স্থানে নিয়ম অনুযায়ী সাইনবোর্ড দিতে হয় তা না দিয়ে কাজ করছে। আমাদের কাজ দেখা শুনার কথা থাকলেও ফলে মাত্র। স্থানীয় মসজিদ কমিটির দেখাশোনার দায়িত্ব দেয় ।
মসজিদ কমিটির সদস্য লিয়াকাত মোড়লের কাছে জানতে চাইলে বলেন, পুকুর খননের জন্য ৫২ লাখ টাকা বাজেট থাকলেও ৫ লক্ষ টাকারও কাজ হয়নি। কাজের অনিয়মের বিষয়ে লিভার সরদার সফির কাছে জানতে চাইলে বলেন, ঠিকাদার আমার মাধ্যমে কাজ করাচ্ছে। ৮ ফুট বলি দেওয়ার কথা কিন্তু আমরা জায়়গা অনুযায়ী ৬ ফুট থেকে ৭ ও ৮ ফুট বলি দিয়েছি ও ঠিকাদার কথা মত কাজ করছি।
পুকুরের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মিন্টু বলেন, আমরা যে টুকু কাজ করব সেটুকুর বিল পাব। এছাড়া কাজের সকল বিষয় শ্যামনগর স্বাস্থ্য উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোস্তফিজুর রহমান ভাল জানেন।
কাজের দায়িত্বে থাকা উপজেলা স্বাস্থ্য উপসহকারী প্রকৌশল মোস্তাফিজুর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে বলেন,সমতল ভূমি থেকে ৬ মিটার গভীর করার কথা থাকলেও লবণাক্ততার কারণে স্থানীয় লোকজন আমাদেরকে গভীর করতে দেয়নি তাছাড়া সিডিউল অনুযায়ী কাজ হচ্ছে।
কাজের সিডিউল বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন জেলা থেকে আপনারা কাজের সিডিউল টাা নিতে পারেন আমাদের কাছে থাকে না তাছাড়াা কোনো অনিয়মে কাজ হচ্ছে না যেভাবে কাজ হওয়ার কথা ছিল ঠিক সেভাবেই কাজ হচ্ছে।
এ বিষয়ে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান কে জানানো হলে তিনি বলেন,কাজটা আমার ডিপার্টমেন্টের না যে ডিপার্টমেন্টের কাজ তাদের সাথে কথা বলেন তারা ব্যবস্থাা নেবে।
সুন্দরবন উপকূলীয় অঞ্চলের সুপেয় পানির তীব্র সংকটের মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রীর নিজস্ব অর্থায়নে যে বাজেট দিয়ে জেলা পরিষদের পুকুর খনন করা হচ্ছে। সেগুলো সম্পূর্ণ সাধারণ মানুষ ও সুশীল সমাজ। উক্ত অনিয়মের কাজের সঠিক তদন্তত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণেরক জোর দাবি জানান প্রশাসনের কাছে।