ডিমের প্রলোভনে দিয়ে ভারতে কুকুরকে গণধর্ষণ
ধর্ষণ মানব ইতিহাসে সমাজের এক বিকৃত মস্তিষ্কপ্রসূত রোগের নাম, ভারতের এই রোগের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি। দেশটির নবজাতক থেকে বৃদ্ধা, সবাই ই ধর্ষণের ঝুঁকিতে বাস করে, যা খুবই স্বাভাবিকতায় পরিণত হয়েছে দেশটিতে। তবে, কুকুরকে গণধর্ষণ করার মতো বিকৃত ঘটনায় ও ভারত আচ্ছন্ন। সদ্য দেশটির উত্তর প্রদেশের এক পোষা স্ত্রী কুকুরকে ৩ যুবক মিলে ডিমের প্রলোভন দেখিয়ে গণধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় উত্তরপ্রদেশের হাথরাস জেলার একটি থানায় অভিযুক্ত তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
দেশটির ইংরেজি দৈনিক ইন্ডিয়া ট্যুডে বলছে, পুলিশ জানিয়েছে, হাথরাস জেলার এক বাসিন্দার বাড়ি থেকে কুকুরটি অপহরণ করে নিয়ে যায় তিন যুবক। হাথরাসের জালেসর সড়ক এলাকার পাশে নিয়ে গিয়ে মাদী কুকুরটিকে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।
কুকুরটির মালিক সন্তোষ দেবী থানায় অভিযোগ দায়েরের পর বলেছেন, দীনেশ কুমার তার প্রতিবেশী। তার বাড়ির পাশেই একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। দীনেশ কুমারকে আমার পরিবারের সদস্যরা চিনেন।
তিনি বলেন, একটি ডিমের প্রলোভন দেখিয়ে দীনেশ আমার চার বছরের পোষা কুকুরটিকে ভাগিয়ে নিয়ে যায়। তার সঙ্গে আরো দুই সহযোগী যোগ দেয়। পরে তারা একটি নির্জন এলাকায় নিয়ে কুকুরটিকে গণধর্ষণ করে।
দেবী বলেন, বৃহস্পতিবার রাত থেকেই তিনি কুকুরটির সন্ধান পাচ্ছিলেন না। শুক্রবার সকালের দিকে কুকুরটিকে তিনি দীনেশ কুমারের কক্ষে পান। এ সময় সেখানে কুকুরটিকে তিনি অবচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
তার তাবি, আশঙ্কাজনক অবস্থায় কুকুরটিকে উদ্ধার করেন তিনি। একই সঙ্গে কুকুরটির শরীরের স্পর্শকাতর জায়গা মারাত্মক ক্ষতবিক্ষত দেখতে পান।
ভারতীয় দণ্ডবিধির পশু আইনের ১১ ধারা অনুযায়ী, জালেসরের বাসিন্দা দীনেশ কুমার ও অপর দুই সন্দেহভাজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত তিনজনের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ বলছে, এ ঘটনায় তদন্ত চলছে। কুকুরটির মেডিকেল পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে।