চাকরি হওয়ার আগেই পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি!
পুলিশের কনস্টেবলের চাকরি হওয়ার আগেই পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন রাকিবুল হাসান শান্ত নামে এক যুবক। তিনি যশোর শহরতলী পালবাড়ি গাজীরঘাট এলাকার শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে।
কোতোয়ালি থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক ইকবাল মাহমুদ জানান, দুপুরে রকিবুল হাসান শান্ত নামে ওই যুবক সিটি প্লাজার এসএস ফ্যাশনে গিয়ে নিজেকে পুলিশ সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন।এরপর তিনি দোকান কর্মচারী সাইফুল ইসলামের কাছে ৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। দোকান কর্মচারী দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করলে তিনি দোকান বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দেন। পরে দোকান মালিক শাহ আলম এসে কথোপকথনের এক পর্যায়ে বুঝতে পারেন, শান্ত মিথ্যা তথ্য দিচ্ছেন।
এরপর খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় এবং শান্তকে আটক করে। এসময় তার কাছ থেকে পুলিশের একটি ভুয়া আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে পুলিশকে জানান, শহরের পালবাড়ি এলাকায় এবি মাল্টিমিডিয়া নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে তিন দিন আগে তিনি ১২০ টাকা দিয়ে কার্ডটি তৈরি করে নিয়েছেন।পুলিশ জানায়, পুলিশের ভুয়া আইডি কার্ড বানিয়ে দেওয়ার অভিযোগে পরে মামুন হোসেন জনি নামে আরেক যুবককে আটক করা হয়। মামুনও তার দোষ স্বীকার করেছেন।
শান্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি মুক্তিযোদ্ধা কোটায় এবার পুলিশ কনস্টেবল পদে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। যশোর শহরের পালবাড়ি গাজীরঘাট রোড এলাকার শাহ আলম হাওলাদারের ছেলে তিনি। তার বাবা একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং অবসরপ্রাপ্ত বিশেষ বাহিনীর সদস্য।
এ ঘটনার আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে যশোরের পুলিশ সুপার মঈনুল হক তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করেন। সেখানে তিনি জানান, ঘুষ নয়, মেধা ও যোগ্যতার বিচারে যশোরের পুলিশ বিভাগ এবার ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে ১৯৩ জনকে নিয়োগ দিয়েছে। অপেক্ষমান রয়েছে আরও ৩০ জন। যারমধ্যে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় রয়েছে ২৩ জন।