কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ
কালিগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ জি এম রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে কলেজ পরিচালনায় অনিয়ম ও বিল ভাউচারে দূর্নীতি করার অভিযোগরে কারণে কলেজের সুষ্ট পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থে কলেজের অধ্যক্ষ এর পতদ্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী। তিনি আরো বলেন কালিগঞ্জ কলেজে দীর্ঘদিন ধরে বিজ্ঞান, গণিত, ইংরাজি সহ অন্যান্য শিক্ষক সহ ১৭ টি শিক্ষকের পদ শূণ্য রয়েছে। অধ্যক্ষ মহোদয় কেন শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দেন নি। কলেজটি সরকারী করণেও অধ্যক্ষের অনিহা
ছিল। কলেজের বিল ভাউচারে অনিয়ম ও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। তা না হলে জনগনেই এর ব্যবস্থা নিবে। তিনি আরো বলে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাখাতে বরাদ্ধ ও গুরুত্ব দিয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কেন এ ধরনের অনিয়ম চলবে। একজন ভ্যান চালক সহ দেশের মানুষের ট্যাক্সের পয়সায় আপনাদের বেতন হয়। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহদেী সরদার মোস্তফা শাহিন কে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি একজন সৎ যোগ্য, দক্ষ কর্মকর্তা আপনার সুনাম রয়েছে, আপনি কলেজের অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দূর্নীতি ও অধ্যক্ষ নিয়োগ
সংক্রান্ত বিষয়ে সঠিক ভাবে তদন্ত করার অনুরোধ করেন। যারা বিরোধীতা করবে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি গত বুধবার বেলা সাড়ে ১২ টায় কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কালিগঞ্জ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ জি এম রফিকুল ইসলাম খুলনা বিএল কলেজে প্রশিক্ষন কর্মশালায় অংশগ্রহন করায় ভিল ভাউচার উত্তোলন বিষয়ে বিশেষ জরুরী সভায় এ কথা বলেন। জানাগেছে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও কালিগঞ্জ সরকারী কলেজের সভাপতি সরদার মোস্তফা শাহিন কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষক কর্মচারীদের নিয়ে
কলেজের বিভিন্ন সমাস্য সমাধানের লক্ষ্যে আলোচনায় বসেন। এ সময় কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক রুহুল আমিন বলেন, অধ্যক্ষ নিজেই গ্রুপিং সৃষ্টি করে তার নিজস্ব ২-৩ জন শিক্ষক নিয়ে অন্য শিক্ষকদের সাথে বিরুপ আচরণ করেন। অধ্যক্ষ কলেজের পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়, প্রশিক্ষনে গিয়ে ডাবল ভিল ভাউচার করা, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা সহ বিভিন্ন বিষয়ে অনিয়ম তুলে ধরেন।
তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এ কলেজের দায়িত্ব দেওয়ায় আমি বিপদে আছি কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সমন্বয়হীনতা এবং গ্রুপিং
চলছে আপনারা মিলে মিশে চলতে না পারলে কলেজের পরিনতি ভালো হবে না। এদিকে কলেজের শিক্ষকদের অপমান জনক আচরনের কারনে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মান হানির মামলা করেছে কলেজের শিক্ষকরা। অন্যদিকে অধ্যক্ষ পাল্টা মামলা করেছে কলেজের ৭ জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দীর্ঘদিন চলছে কলেজের অধ্যক্ষ ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে মনোমালিন্য। বুধবারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কলেজের অধ্যক্ষের বিষয়ে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে জড়িয়ে কয়েকটি পত্রিকায় যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী বলেন,কলেজটি কতিপয় ব্যক্তির চক্রান্তের কারণে শিক্ষার পরিবেশ ধ্বংস হতে চলেছে। এদিকে ভিন্ন খাতে নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করা হয়েছে। কলেজের সার্বিক উন্নয়ন ও শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার স্বার্থেই অধ্যক্ষকে বলেন আপনাকে সবকিছু ভুলে কলেজের সকল শিক্ষদের সাথে মিলেমিশে কলেজের শিক্ষার পরিবেশ ফিরাতে হবে।
তিনি আরও বলেন যেসব দুনীতির কথা বলা হচ্ছে আপনাকে উদ্দেশ করে যদি এগুলো সত্য হয় তাহলে আপনাকে পদত্যাগ করা উচিত।কিন্তু কলেজের অধ্যক্ষসাংবাদিকদের ভুল তথ্য দিয়ে আমার কথাগুলো ভিন্ন ভাবে পত্রিকায় প্রকাশ করান।এজন্য অধ্যক্ষের এমন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আমি নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে কালেজের অধ্যক্ষ জি এম রফিকুল ইসলামের মুঠো ফোনে একাধিক বার ফোন দিলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।