বায়ুদূষণ রোধে নতুন আইন হচ্ছে
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী জানিয়েছেন, বায়ুদূষণ রোধে নতুন আইন হচ্ছে। আইনটি প্রথমে ইংরেজিতে করা হয়েছে এখন বাংলা করা হচ্ছে। বায়ুদূষণে এখন আমরা আইন প্রয়োগ করতে পারব।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত বায়ুদূষণের অভিঘাত এবং নগর-পরিকল্পনায় বন ও জীববৈচিত্র্য শীর্ষক সেমিনারে এসব তথ্য জানান তিনি।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস-২০১৯ উদ্যাপন উপলক্ষে আরণ্যক ফাউন্ডেশন, আইইউসিএন ও বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির যৌথ উদ্যোগে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী বলেন, একটি দূষণ আরেকটি দূষণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। আমরা যদি বায়ুদূষণ রোধ করতে পারি, তাহলে পানিদূষণ রোধ করতে পারব। শুধু বায়ু নয়, মাটি, পানি দূষণ রোধে আমরা সমন্বিতভাবে কাজ করছি।
অনুষ্ঠানের মূল বক্তা অধ্যাপক ড. আইনুন নিশাত বলেন, গাছ রেখে ভবন নির্মাণ কিংবা অবকাঠামো নির্মাণ করতে হবে। দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগাতে হবে। বট গাছ রক্ষা এবং নতুন করে লাগানোর উদ্যোগ নিতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে ১০ লাখ গাছ লাগানো হবে। পরিবেশ রক্ষায় কিন্তু গাছের সঠিক ও ভারসাম্যপূর্ণ প্রজাতি নির্ধারণ করতে হবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এস এম মঞ্জুরুল হান্নান বলেন, বায়ুদূষণের মাত্রা এত দুর্বিষহ হয়েছে যে তা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। তাই, মানুষকে পানির বোতলের সঙ্গে এখন অক্সিজেনের বোতল নিয়ে ঘুরতে হবে।
পরিকল্পনাবিদ আদিল খান বলেন, ভূমির ব্যবহারে সঠিক কোনো পরিকল্পনা নেই। বায়ু দূষণে সরকারের দায়বদ্ধতা ও ব্যর্থতা রয়েছে। শহরের পাশে বাফার এলাকা ধ্বংস করা হচ্ছে। ফলে নগরবাসী দূষণের শিকার হচ্ছে। বায়ু, ভূমি, মাটি এবং পরিবেশ রক্ষায় জোনিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। পরিবেশ রক্ষা করলে হাসপাতালের খরচ কমে আসবে। পরিবেশ দূষণকারীদের শাস্তি এবং জরিমানার পরিমাণ আরো কঠোর হতে হবে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. এ. কে. এম. রফিক আহাম্মদ, বন অধিদফতরের সামাজিক বনায়ন সার্কেলের বন সংরক্ষক রকিবুল হাসান মুকুল, মূল বক্তা ছিলেন ড. আইনুন নিশাত, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) এর সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ ড. আদিল মুহাম্মদ খান এবং জীবন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মুকিত মজুমদার।