একাধিক মামলার আসামী মেম্বর রহিমের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ
নাশকতাসহ একাধিক মামলার আসামী গাবুরার মেম্বর রহিমের অনিয়ম দুর্নীতির তদন্তপূর্বক সুষ্ঠ বিচারের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ও দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করেছেন এলাকাবাসী। গত ২ জুলাই ২০১৯ তারিখে গাবুরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিল্লাল হোসেনসহ শতাধিক গ্রামবাসী স্বাক্ষরিত এ অভিযোগ দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করা হয়। উক্ত অভিযোগপত্রে গাবুরা ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম মাছুদুল আলমও সুপারিশ করেছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গাবুরা ইউপির পূর্ব চাঁদনীমুখা গ্রামের মৃত জাফর আলীর পুত্র গাবুরা পিঁজে আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক জি এম আব্দুর রহিম গাবুরা ইউনিয়ন বি,এন,পি-এর সাংগঠনিক সম্পাদক।বিগত ২০১৩ সালে বি,এন,পি- জামায়াত কর্তৃক বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাতের নেতৃত্ব দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে নাশকতা সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
ইউপি সদস্য হিসাবে সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মাসিক ভাতা এবং একই সাথে স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষক হিসাবে হাজীরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর করে এবং বেতন উত্তোলন করে।
বিগত ইং-২০অক্টোবর১৭ তারিখ হতে ২১অক্টোর১৭ তারিখ পর্যন্ত গাবুরার খলিসা বুনিয়া ও চৌদ্দরশী বাজারের উপর দিয়া টর্নেডো ঝড় প্রবাহিত হওয়ায় উক্ত এলাকার মানুষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হলে তৎকালীন জেলা প্রশাসক এর মাধ্যমে জেলা ত্রাণ শাখা স্মারক নং-৫১. ০১. ৮৭. ০০. ০০০. ২০. ০০৪. ১৭. ৫৪৪, তারিখ ২৪/অক্টোবর১৭ ইং এর প্রেক্ষিতে ত্রাণকার্যালয় শাখার স্মারক নং-৫১. ০১. ৮৭৮৬. ০০০. ২৯. ০২৯. ১৭. ৪১০, তারিখ-২৫/১০/১৮ ইং মোতাবেক গাবুরা ইউ.পি চেয়ারম্যানের অনুকূলে ১০,০০০ মেঃ টন জি,আর চাউলের সরবরাহ আদেশ জারী করা হয়। যার ডিও নং ৫৪২৭১৪৮, তারিখঃ- ২৯অক্টোবর১৭। সেসময় ১২ নং গাবুরা ইউ.পি চেয়ারম্যান আলী আযম টিটুর আকস্মিক মৃত্যু জনিত কারণে অত্র আব্দুর রহিম চেয়ারম্যানের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।
এসুযোগে উক্ত বরাদ্দকৃত ১০,০০০/- মেঃ টন জি,আর চাউল উত্তোলন করতঃ উহা অসহায় দরিদ্র ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণ না করে সমূদয় চাউল আত্মসাৎ করেন। এছাড়া অত্র এলাকার চকবারা ক্লোজার ভেঙে প্লাবিত না হওয়া স্বত্বেও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করে ৩,০০০ মেঃ টন জি,আর চাউল বরাদ্দ করিয়ে চাউল ও উত্তোলন করিয়া আত্মসাৎ করেন। এর প্রতিবাদে গাবুরা ইউনিয়নের ৯ জন ইউ, পি সদস্য স্বাক্ষরিত গত ইং- ১৭এপ্রিল১৮ তারিখে সুষ্ঠু প্রতিকারের প্রত্যাশায় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য শ্যামনগর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এর উপর তদন্তভার অর্পিত হলে সরেজমিনে তদন্তে উক্ত বিবাদীর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ যথাযথ প্রমাণিত মর্মে প্রতিবেদন দাখিল করা স্বত্বেও তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
অত্র বিবাদী ১২ নং গাবুরা ইউ.পি এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকাকালে জনগণকে বৈদ্যুতিক সংযোগ প্রদানের নিমিত্ত অত্রালাকার বিভিন্ন ব্যক্তিদের প্রলুব্ধ করতঃ তাহাদের নিকট হইতে গ্রাহক প্রতি নগদ পাঁচশত করে অনু ৪,৫০,০০/- (চার লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা আদায় করিয়া আত্মসাৎ করিয়াছেন।রহিম ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে ইজিপিপি প্রকল্পে সর্ব মোট ৩৮১ (তিনশত একাশি) জনের নামের তালিকা প্রস্তুত করতঃ উক্ত প্রকল্পে কর্ম সংস্থানের জন্য টাকা আদায় ২ শত ৬০ জনকে কাজ দেওয়া হয়। ১২১ জনের নামের টাকা উত্তোলন আত্মসাৎ করায় সুবিচার কামনায় তারা জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ব্যবস্থা গ্রহণ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রেরণের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর নির্দেশ দিলে ও এখনো পর্যন্ত অভিযোগের কোন তদন্ত হয় নি।
তাছাড়া তার ভাই আব্দুর নুর ওরফে নূরী অত্রালাকার একজন চিহ্নিত অবৈধ অস্ত্রধারী, সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী, জলদস্যু, নাশকতা সৃষ্টিকারী, নারী ও শিশু পাচারকারী, একাধিক মামলার আসামী। এলাকাবাসী অবিলম্বে ওই আব্দুর রহিমের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।