শ্যামনগর শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে শূন্য পদ ও উচ্চতর বেতন স্কেলের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ
শ্যামনগরের বহুল আলোচিত উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে শূন্য পদ ও উচ্চতর বেতন স্কেল বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে প্রতিটি পদে পাঁচ হাজার করে টাকা নেওয়া ও যে শিক্ষকের কাছ থেকে যেমন পারে তেমনি টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
আলোচিত এই শিক্ষা অফিসার কিছুদিন পূর্বে মৌতলায় সরকারি বই বিক্রয় করার সময় শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে 14 থেকে 19 সালের যাবতীয় বই বিক্রয় করার সময় হাতেনাতে আটক করে কিছু মিডিয়া কর্মী। পরে বিষয়টি পুরো জেলা ব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি করে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে 2014-15 বই বিক্রির অনুমতি দিলে সেই সুযোগ পেয়ে 19 সাল পর্যন্ত সকল বই বিক্রি করে দেয়। 2014 সাল থেকে 19 সকল বই গুলো নকিপুর সরকারি হরিচরণ পাইলট মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের গোডাউনে মওজুদ ছিল।
এছাড়া শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাজেট থেকে টাকা নেয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। নাম বলতে অনিচ্ছুক কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভুক্তভোগী শিক্ষকরা বলেন, শিক্ষা অফিসার বিভিন্ন সময় আমাদের কাছ থেকে শূন্য পদ ও উচ্চতার বেতন স্কেলর জন্য টাকা নিয়ে থাকেন এবং যে শিক্ষকের কাছ থেকে যেমন পারে তেমনি ভাবে টাকা নিয়ে থাকেন। মৌতলায় অবৈধ সরকারি বই বিক্রিয়ার মাধ্যমে বিভিন্ন মিডিয়ায় তাকে নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।
ইতিপূর্বে শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতির বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান সাধারণ মানুষ।দিন দিন শ্যামনগর উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দুর্নীতির বেড়েই চলেছে। সঠিক তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে শিক্ষা অফিসারের বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ। চলবে এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকরাম হোসেনের কাছে জানতে চাইলেন তিনি বলেন আমার বিরুদ্ধে টাকা নেয়ার যে অভিযোগ উঠেছে এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ধরনের কোন টাকা-পয়সা আমি কোন শিক্ষকের কাছ থেকে নেই নাই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষর জালিয়াতির তদন্তের বিষয়টা জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, তদন্ত করে আমাকে কিছু জানানো হয়নি জেলা শিক্ষা অফিসার কাছে আপনারা জানতে পারেন।
Please follow and like us: