উজ্জ্বল আলোর দ্রুতি ছড়াচ্ছে সাতক্ষীরার নলতার আইএইচটি, ম্যাটস্
সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার নলতা শরীফে পীরকেবলা হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র.) পাদদেশে অবস্থিত ইন্সটিটিউট অব হেল্থ টেকনোলজি (আইএইচটি) ও মেডিকেল এ্যাসিষ্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস্) এই দুইটি প্রতিষ্ঠান চালু হওয়ার পর উজ্জ্বল আলোর দ্রুতি ছড়াচ্ছে। আগে এই কোর্সে পড়ালেখা করতে শিক্ষার্থীদের জেলার বাহিরে যেতে হতো। নলতার মতো জায়গায় এমন প্রতিষ্ঠান হবে যা কল্পনাও করতে পারেনি সাধারণ মানুষ। কিন্তু শিক্ষা সংস্কারক পীর কেবলা হজরত খানবাহাদুর আহ্ছানউল্লা (র:) এঁর আদর্শে আদর্শিত সাতক্ষীরা- ৩ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী আলহাজ্ব অধ্যাপক ডাঃ আফম রুহুল হক স্বাস্থ্য মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করাকালিন জেলার স্বাস্থ্য বিভাগে আমূল পরিবর্তন এনেছেন।
এমনকি মন্ত্রিত্বের বাইরে থেকেও তিনি জেলার প্রন্তিক জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। তিনি শিক্ষিত যুবকদের ভাগ্য উন্নয়নে ২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই দুইটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। প্রথম বর্ষে নলতা ম্যাটস ও আইএইচটি এর শিক্ষক, স্টাফ, ম্যাটস বিভাগে প্রথম ব্যাচে ভর্তিকৃত ৫২ জন শিক্ষার্থী, আইএইচটি বিভাগের ল্যাব শাখায় ৫১ জন শিক্ষার্থী, একই বিভাগের রেডিও গ্রাফি শাখায় ৫০ টি সিট’র মধ্যে ৩৩ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছেন। এখানে দেশের দক্ষিণ অঞ্চল তথা বিভিন্ন জেলা হতে আগত শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ার সুযোগ পাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করে শিক্ষার্থীরা দক্ষ মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হয়ে দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর প্রাথমিক চিকিৎসাসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে।
এবিষয়ে স্থানীয় আলমগীর হোসেন, ডাঃ ফজলুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেনসহ অনেকেই জানান, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী রুহুল হক স্যার আমাদের দৌড় গোড়ায় এমন স্বপ্নের প্রতিষ্ঠান করায় আমরা গর্বিত। আমরা স্যারকে ধন্যবাদ জানাই। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ যেমন নতুন প্রতিষ্ঠান হয়েও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে খুব ভাল ফলাফল অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। তেমনি নতুন প্রতিষ্ঠান হিসেবে নলতা ম্যাট্স ও আইএইচটি এর নবাগত শিক্ষার্থীরা সকলের সহযোগিতায় মেডিকেল কলেজের ন্যায় এখান থেকেও ভাল ফলাফল উপহার দিয়ে কর্মক্ষেত্রে সফলতার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে বলে সাতক্ষীরাবাসী মনে করেন।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডাঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, এখানে পড়ালেখার মান খুবই ভাল হচ্ছে। যারা পড়ালেখা করছে তারা দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারবে।