প্রেমিকার মামলায় গ্রেফতার ম্যারাডোনা
সাবেক প্রেমিকার করা মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ফুটবল কিংবদন্তী ম্যারাডোনা। তবে গ্রেফতার হলেও তাকে কারাগারে নেয়া হয়নি। এই ফুটবলারের বান্ধবী রোচিও আলিভার সাথে গত ডিসেম্বরে বিচ্ছেদ হয়েছে। বিচ্ছেদের পর অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৯ মিলিয়ন ডলার বা ৭৬ কোটি টাকার মামলা করেন অলিভা।
সে মামলার কারণেই মেক্সিকো থেকে ফেরার পথে গ্রেফতার করা হয় ম্যারাডোনাকে। আগামী ১৩ জুন এ মামলা নিয়ে শুনানিতে আসতে হবে ফুটবল-কিংবদন্তিকে।
৫৮ বছর বয়সী ম্যারাডোনা ও অলিভার বয়সের ব্যবধান ৩০। ২০১২ সালে প্রথম দেখা হয়েছিল দুজনের। সাবেক ফুটবলার বলে অলিভার সঙ্গে ম্যারোডোনার জমেছিলও ভালো। বান্ধবীকে বুয়েনেস এইরেসের বেলা ভিস্তায় একটি বাড়িও কিনে দিয়েছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু অলিভা গত ডিসেম্বরে শুধু ছয় বছরের সম্পর্কেই দাঁড়ি টানেননি, ম্যারাডোনাকে বের করে দিয়েছিলেন তার কিনে দেয়া বাড়ি থেকেই!
আর্জেন্টিনার এল নুয়েভ চ্যানেলের তোদাস লাস তার্দেস অনুষ্ঠানে কিছুদিন আগে এমন খবরই শুনিয়েছিলেন সাংবাদিক লিও পেকোরারো। সাংবাদিকের দাবি, ‘ম্যারাডোনা অলিভাকে বেলা ভিস্তায় যে বাড়িটি উপহার দিয়েছিলেন, সেখান থেকে তিনিই গলাধাক্কা খেয়েছেন।’
ঘটনার সূত্রপাত নাকি অলিভার দেয়া এক সাক্ষাৎকার। এই সাবেক খেলোয়াড় ইএসপিএন রেদেস-এ কথাবার্তার একপর্যায়ে নিজেকে ‘সিঙ্গেল’ দাবি করেছিলেন। পেকোরারোর দাবি, এতে নাকি ক্ষুব্ধ হন ম্যারাডোনা। ঝগড়া-ঝাঁটির এক পর্যায়ে ম্যারাডোনাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।
সেই অনুষ্ঠানের আরেক সঞ্চালক জানিয়েছিলেন, ‘সে (অলিভা) কোনোভাবেই মেক্সিকো যেতে রাজি হয়নি। সে আর্জেন্টিনাতেই থাকতে চায়।’
এদিকে মেক্সিকোর দ্বিতীয় বিভাগের দল দোরাদোস দে সিনেলোয়ার কোচ হওয়ার কারণে গোটা সপ্তাহ মেক্সিকোতেই থাকতে হয় ম্যারাডোনাকে। ফলে বিলাসবহুল বাসায় একাকিত্বে কাটত অলিভার। এ কারণে দুজনের সম্পর্ক দিন দিন খারাপ হতে থাকে। পরে গত ডিসেম্বরে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় এ জুটির। তার আগে ছয় বছরের সম্পর্ক ছিল ম্যারাডোনা-অলিভার মধ্যে।
দৈনিক সাতক্ষীরা/এসকে এফ