৭ বলে ওভার, আম্পায়ারিং নিয়ে নতুন বিতর্ক
ক্রিকেট বিশ্বকাপে এবার বাজে আম্পায়ারিং নিন্দা কুড়োচ্ছে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই। অস্ট্রেলিয়া-ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে আম্পায়ারের চোখ এড়িয়ে গিয়েছিল ‘নো বল’। গত বাংলাদেশ-আফগানিস্তান ম্যাচেও বিতর্ক হয়েছে আম্পায়ারদের ‘সফট সিগন্যাল’ নিয়ে। এবার লর্ডসে পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে তো ওভার হয়েছে ৭ বলে!
এবারের বিশ্বকাপে বাজে আম্পায়ারিং যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতোমধ্যে ভুল আউট ও সফট সিগন্যাল বিতর্কের ঝড় তুলেছে। এবার নতুন বিতর্কের জন্ম দিল ৭ বলে ওভার। পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার ম্যাচে এমন ঘটনাই ঘটেছে।
বিশ্বকাপের ৩০তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ম্যাচটি পাকিস্তান ৪৯ রানে জিতলে বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যায় প্রোটিয়ারা।
পাকিস্তানের ইনিংসের ১৪তম ওভারে ৭টি বৈধ ডেলভারিতে ওভার দেয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ম্যাচটিতে আম্পায়ারের দায়িত্বে ছিলেন শ্রীলঙ্কার কুমার ধর্মসেনা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের জোয়েল উইলসন।
প্রোটিয়া অলরাউন্ডার ক্রিস মরিসের করা সে ওভারের প্রথম ও দ্বিতীয় বলে কোনো রান নিতে পারেননি ইমাম। তৃতীয় বলে এক রান নিলে স্ট্রাইকে আসেন ফখর জামান। চতুর্থ ও পঞ্চম বলে তিনি কোনো রান নিতে পারেননি। ষষ্ঠ বলে সিঙ্গেল পান ফখর। এরপরই দুই আম্পায়ারের ভুলে আর সকলের দৃষ্টির অগোচরে একটি বাড়তি বল হয়ে যায়। যদিও সে ডেলিভারিতে ইমাম কোনো রান নিতে পারেননি।
উক্ত ঘটনার পর ইংলিশ স্কোরার জেমস এমারসন এমন ঘটনায় আইসিসির আইনের ব্যাখ্যা দেন, ‘আমি লর্ডসের এই ম্যাচের দায়িত্বে ছিলাম না। ঘটনাটি শুনেছি। আমার মনে হয় এটা নিয়ে সকলের সচেতন থাকতে হবে। আইসিসির আইন অনুযায়ী (১৭.৫ ধারা) এটা পরিষ্কার করে দেওয়া আছে। আম্পায়ারদের অনিচ্ছাকৃত ভুলের কারণ গণনা হবে না। এর কোনো ব্যাখ্যা নেই। অতিরিক্ত বলটিতে যদি কোনো রান না হয় কিংবা কোনো উইকেট না পড়ে তাহলে সেটাকে খেলার ভাগ্য বলে মেনে নিতে হবে।’
তিনি আরও যুক্ত করেন, ‘অনেক সময় স্কোরাররা এমন ঘটনা টের পান বা ধরে ফেলেন। তখন মাঠের আম্পায়ারদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে আমরা টিভি আম্পায়ারদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। টিভি আম্পায়াররা ঘটনাটি দ্রুতই চেক করেন এবং সঙ্গে সঙ্গেই মাঠের আম্পায়ারদের জানিয়ে দেন। এ রকম ঘটনা যেকোনো আম্পায়ারের দায়িত্ব পালনের সময় হতেই পারে।’