আমার সাতক্ষীরার মানুষ বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার নিয়ে যেন কোন ভোগান্তীতে না পড়ে-এমপি রবি
বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সাতক্ষীরা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি বলেছেন, ‘আমার সাতক্ষীরার মানুষ কোন কষ্ট, হয়রানী বা ভোগান্তী পাক তা আমি চায়না। আমার এলাকার মানুষকে আমি সদা সর্বদা সুখে ও শান্তিতে রাখতে চাই। এটা আমার দায়বদ্ধতা। কারণ এই জনগণ আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে তাদের প্রতিনিধি বানিয়েছে। তাদের সুখ দুঃখ মানে আমার সুখ-দুঃখ। সাতক্ষীরায় বর্তমানে বিদ্যুৎ সংযোগে প্রি-পেইড মিটার সংযোজনে কিছু কিছু বিদ্যুৎ গ্রাহক ভোগান্তী ও হয়রানীর শিকার হচ্ছে এবং এই প্রি-পেইড মিটার স্থাপনে কয়েকটি এলাকায় বিক্ষোভের মত ঘটনা ঘটেছে। এ্টা খুবই বেদনাদায়ক। ডিজিটাল বাংলাদেশ আজ বিশে^র সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে চলেছে। বাংলাদেশের অজপাড়া গায়েও ডিজিটাল ছোয়া লেগেছে। অফিস, আদালত, ব্যাংক-বীমা থেকে শুরু করে হাট বাজারের কেনা কাটা সকল ধরনের বিল পরিশোধে হয়েছে ডিজিটাল পদ্ধতি। তারাই ধারাবাহিকতায় একনেক’র সভায় বিদ্যুৎ গ্রাহকদের জন্য প্রি-পেইড মিটার চালু করার অনুমোদন দিয়েছেন। সিস্টেম লস ও বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করা সহজ হবে এই প্রি-পেইড মিটার স্থাপনে। যেসব প্রি-পেইড মিটার সমস্যা হচ্ছে সেগুলো পরিবর্তন করাসহ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের অভিযোগ ও সমস্যাগুলি সমাধানের নির্দেশ দেন এমপি রবি। তিনি আরো বলেন, সাতক্ষীরায় এখন আর বিদ্যুতের লোড শেডিং নেই। সাতক্ষীরায় আগে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পেতনা। আমি নিজে মন্ত্রণালয়ে হেটে হেটে চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ পাইয়ে দিয়েছি। দু’একটা প্রিপেইড মিটারে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে সেগুলো দ্রুত সমাধান করার নির্দেশ দেন। আমি চায় আমার সাতক্ষীরার মানুষ সুখে ও শান্তিতে বসবাস করুক।’ তিনি সাতক্ষীরায় প্রি-পেইড মিটার স্থাপনে জনগণের অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসে যান এবং এসব কথা বলেন।’
এব্যাপারে ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসে নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘সার্বক্ষণিক নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা, বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি ও অতিরিক্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হচ্ছে বিধায় গ্রাহক প্রি-পেইড মিটারকে দোষারোপ করছে। প্রিপেইড মিটারে ৪০ টাকা বাড়তি মিটার ভাড়া ছাড়া গ্রাহকদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার কোন সুযোগ নেই। বিদ্যুৎ ব্যবহারের তারতম্যের কারনেই বিল কমবেশি হয়ে থাকে। সাতক্ষীরায় ৩৫ হাজারের মধ্যে ২৭ হাজার প্রিপেইড মিটার ইতিমধে স্থাপন করা হয়েছে। বাকিগুলো সংযোজন করা হবে। প্রিপেইড মিটার ছাড়া বিদ্যুৎ বিতরণ হবেনা। আমরা খুব শীঘ্রই জনগণের সমস্যা নিয়ে গণশুনানীর মাধ্যমে সমাধান করা হবে এবং প্রিপেইড মিটারের সুফল ও উপকারিতা সম্পর্কে জনগণের মাঝে তুলে ধরা হবে।’ এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিচালনা ও সংরক্ষণ সার্কেল যশোর’প্রকৌশলী মো. শহিদুল আলম, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার সম্পাদক মো. মহসিন হোসেন বাবলু, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক শেখ নুরুল হক, দপ্তর সম্পাদক শেখ হারুন উর রশিদ, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আবু সায়ীদ, সাধারণ সম্পাদক মো. সাহাদাৎ হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা জ্যোৎসনা আরা, দৈনিক আজকের সাতক্ষীরা পত্রিকার সহ-সম্পাদক শেখ তহিদুর রহমান ডাবলু, সাপ্তাহিক ইচ্ছেনদী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মো. আবু শোয়েব এবেল, ওজোপাডিকো সিবিএ সভাপতি বিকাশ চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম প্রমুখ। এসময় দলীয় নেতৃবৃন্দসহ ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ সাতক্ষীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ অফিসের সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।