চাচা ও চাচাত ভাইদের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচতে ছাদিক হোসেনের সংবাদ সম্মেলন
তিন চাচা ও চাচাতো ভাইদের অত্যাচার থেকে নি®কৃতি পেতে রোববার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার কাশিমাড়ি গ্রামের আব্দুল হক তরফদারের ছেলে ছাদিক হোসেন ইকবাল মাহমুদ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, তার দাদা ফজলুল হক তরফদারের মৃত্যুর কিছুদিন আগে তার তিন চাচা মিলে চারটি দলিলে ৬০ বিঘা জমি লিখে নেন। বাবার এক মাত্র ছেলে হওয়ায় জীবদ্দশায় তিনি ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে বেশ কিছু জমি দানপত্র করে দিয়ে যান। জানতে পেরে নুরুল আমিন তরফদার ও ওহাব তরফদার তাদের কাছে থাকা বাকি জমির মুল দলিল পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। তাকে সহ তার মাকে চাচা ও চাচাতো ভাইরা শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করা ছাড়াও রান্না ঘর ও বাথরুম ভেঙে দেওয়ায় প্রতিবেশী আব্দুল গফুরে পাড় তাদের আশ্রয় দেন। পরে ওহাব তরফদার তার ফুফাত ভাইয়ের মাধ্যমে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র চলে যেতে বলে। কারণ হিসেবে বলে যে ওই জমি তারা লিখে নিয়েছে। নিরুপায় হয়ে মাকে নিয়ে জমির এক কোনায় একটি গোলপাতার ঘরে বসবাস শুরু করেন তারা। চাচা ও চাচাত ভাইরা বাবার লাশ দাফনে বাধা দেয় বলে উলেখ করে ইকবাল মাহমুদ বলেন, তিন চাচা ও তাদের ছেলেদের অত্যাচারে মাকে নিয়ে খুলনায় বড় বোনের বাসায় অবস্থান করছেন তারা। এ সুযোগে চাচারা তাদের(ইকবল মাহমুদ) নামীয় ১০ শতক জমি জবরদখলের চেষ্টা করলে তিনি বাদি হয়ে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। আদালতের নোটিশ পেয়েও তারা গত ২৫ মে ওই জমির গাছ পালা কাটতে থাকলে কালিগঞ্জ সার্কেলের সহগকারি পুলিশ সুপারকে অবহিত করলে কোন সহায়তা না পেয়ে বাধ্য কয়ে একটি জিডি করেন।
সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ইকবাল মাহমুদ বিষয়টি পুলিশ সুপারসহ উর্দ্ধতন পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইকবল মাহমুদের দোলা ভাই শেখ ফারুক হোসেন, প্রতিবেশী গাজী কামাল, রহিমদ্দি ও আলমগীর হোসেন।