আজ বিশ্ব বাবা দিবস
ইংরেজ সন্তানের আপ্লুত ডাক ‘ফাদার’ কিংবা জার্মানির ‘ফ্যাটা’ বাংলায় হয়ে যায় ‘বাবা’। কিন্তু সম্পর্ক তো একই। এটা শুধু একটা সম্পর্কের নাম নয়, ভরসা ও ছায়ার ভিন্ন নামও বটে। আজ জুন মাসের তৃতীয় রবিবার, বিশ্ব বাবা দিবস।
সন্তানের কাছে বাবা তো প্রতিদিনই সমান, তবুও কেন এই দিবস? উত্তরে বলা যায় লম্বা ইতিহাস। কিন্তু সহজ ভাবে বললে, মা দিবসের মতো এখন পৃথিবীর মানুষ বছরের একটা দিন বাবার জন্য রেখে দিতে চায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শতকের প্রথম দশক থেকেই শুরু হয় বাবা দিবসের প্রচলন। ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯১০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সনোরা স্মার্ট ডোড নামের এক তরুণীর মাথায় আসে বাবা দিবসের বিষয়টি। ১৯১৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পিতৃ দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণার বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯৭২ সালে প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন দিনটিকে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেন।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ৮৭টি দেশ বাবা দিবস পালন করে। তারমধ্যে জুন মাসের তৃতীয় রবিবারে দিবসটি পালিত হয় ৫২টি দেশে। এরমধ্যে বাংলাদেশ, ভারত, অ্যান্টিগুয়া, বাহামা, বুলগেরিয়া, পাকিস্তান, কানাডা, চিলি, চেক প্রজাতন্ত্র, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলংকা, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, ইংল্যান্ড, আমেরিকা, ভেনিজুয়েলা ও জিম্বাবুয়ে অন্যতম।
এছাড়া ইরানে বাবা দিবস পালিত হয় ১৪ মার্চ। লিভিয়া, ইটালি, হন্ডুরাস, পর্তুগাল ও স্পেনে ১৯ মার্চ, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৮ মে, ডেনমার্কে ৫ জুন, নিকারাগুয়া, পোল্যান্ড ও উগান্ডা ২৩ জুন এবং জুন মাসের প্রথম রবিবার লিথুনিয়ায় বাবা দিবস পালিত হয়।
হাজারো কষ্ট সয়ে তিলে তিলে সন্তানকে বড় করেছেন একজন বাবা, তাকে ঘিরেই এই দিনটি। তবে বাবা কি শুধুই একটি বিশেষ দিনের জন্য! এরকম বিতর্ক থাকলেও এই বিশেষ দিনটিতে একটি লাল গোলাপ, একটি কার্ড অথবা ‘মাই লাভ ফর ড্যাড’ লেখা মগ নিয়ে শুভেচ্ছা জানালে বাবা তাতেই খুশি। বাবার চাহিদা এতটুকুই। ছোট-বড়, অখ্যাত-বিখ্যাত সকলের কাছেই বাবা অসাধারণ। বাবার স্নেহ-ভালোবাসা সকলেরই প্রথম চাওয়া আর পাওয়া।
গত বেশ কয়েক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং স্যাট টিভির তুমুল প্রচার দাক্ষিণ্যে বাবা দিবস ঘটা করেই পালিত হচ্ছে। আবার কেউ কেউ বলে থাকেন, বাবা দিবসটা ঠিক আমাদের জন্য নয়। এটি মূলত পাশ্চাত্যের। বাবার জন্য আমাদের অনুভূতি প্রতিদিনকার। প্রতি মুহূর্তের। তার জন্য আলাদা দিনের দরকার নেই।