ভাঙ্গন
দু’টি মানুষের পরিচিত হওয়া,
সহপাঠী থেকে বন্ধু হওয়া,
হটাৎই একে অপরের-
না বলা কথা গুলোকে বুঝতে পারা।
একেই বলে বোধহয় ভালবাসার সূত্রপাতে
দু’টি হৃদয় মায়ার বাঁধনেতে বাঁধা পড়া।
পরিচয় থেকে কাছের মানুষ-
সমীকরণটা ছিল সহজ।
দু’জনাতে বিশ্বাস আর বোঝাপড়াও
ছিল স্বচ্ছ কাঁচের মতই।
ছিল না ঝগড়া, না ছিল রাগ;
ছিল কিছু অভিমান আর
ভালবাসার ক্রমবর্ধমান বিকাশ।
কাটছিল সময় দু’জনাতে
রঙিন স্বপ্নে বিভোর হয়ে।
ভালবাসি তাকে অনেক ভালবাসি!
আর সে-
আমাকে ভালবাসে নিজের থেকেও বেশী।
জানি চলার পথ হয় না মসৃণ।
তাই তো বাস্তবতা বড়ই নিষ্ঠুর।
তখন নিরুপায় আমি!
আর সে-
পরিবারে চাপে পড়ে,
না চাহিতেও তাকে বাঁধিতে হল অন্যের ঘর।
মনটা তার পড়ে আছে আজও আমারি কাছে।
তার অনিচ্ছাতেও আজ তার শরীরেÑ
অন্যের অবাধ্য স্পর্শ।
মেয়েটা আত্মঃহুতি দিতে চেয়েছিল।
আমি চাইনি তাই সে বেঁচে আছে আজওÑ
আধ-মরা হয়ে।
যাকে এতটা ভালবাসি
তার মরণ কি করে দেখি?
ভালবাসি তাই-
সে ভাল আছে দেখতে চাই।
আমার হাজারও স্মৃতি বুকে চেপে,
পাড়ি দেবে সে জীবণ সাগর।
স্বামী, সংসার, সন্তানে ব্যস্ত মেয়েটা!
তবে অবসারে ঠিকই আমার জন্য আজও
দু’চেখের কোণে তার লোনা অশ্রু জমে।
আমি ভেবেছিলাম-
ভালবেসে তাকে একাই কাটাব আমার সংসার।
তবে তাকে দেওয়া প্রতিশ্রুতিতে,
আমাকেও বাঁধতে হবে অন্যের সাথে ঘর।
জীবণ তার ছন্দে ঠিকই চলেছে,
তবে স্মৃতিগুলো কোথাও যেন থেমে আছে।
এই গোলাকার অবনীতে পথ চলতে
হয়তো বা দেখা হবে তোমার সাথে।
বয়স তখন জানাবে,
আমরা দু’জনে বুড়িয়ে গেঁছি।
আমার মাঝে তখন হয়তো
সংকোচ হবে আলাপিতে।
তবে তুমি ঠিকই আমার সামনে এসে বলবে-
‘‘কেমন আছ নাঈম?
তুমিতো দেখছি মোটু হয়ে গেঁছ।”
আমি নির্বাক চোখে তাকিয়ে থাকব তখন।
এইতো ভালবাসা জিতেছে-
হার না মানা দুই ভালবাসার সৈনিক।
আজ শেষ বয়সে দাঁড়িয়ে
আজও সেই আগের তরুণ অনুভূতিÑ
দু’জনারি অন্তরে!