সেনা কর্মকর্তাকে হিংস্র পিরানহা মাছ দিয়ে খাইয়েছেন কিম
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রপ্রধান কিম জং-উন তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে এক সেনাকর্মকর্তাকে হিংস্র পিরানহা ভরা পুকুরে ছুড়ে ফেলে হত্যা করেছেন। গত মে মাসে আমেরিকায় তার দূত হিসেবে পাঠানো কূটনীতিকের পরে কিমের অভিনব হত্যালীলার এটিই সাম্প্রতিকতম সংযোজন।
সংবাদসংস্থা ডেইলি স্টার জানিয়েছে, পিয়ংইয়ংয়ে কিমের রিংয়সিয়ং প্রাসাদের ভিতরে এক বিশাল জলাশয়ে ব্রাজিল থেকে আমদানি করা কয়েকশো পিরানহা মাছের আশ্রয়। অভিযুক্ত সেনাকর্মকর্তার হাত, পা ও কুচকিতে ছুরি দিয়ে কোপ বসানোর পরে ওই জলাশয়ে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়। টাটকা রক্তের স্বাদ পেয়ে ঝাঁকে ঝাঁকে হিংস্র পিরানহা আহত সেনাকর্মকর্তার দিকে ধেয়ে আসে। তবে শেষ পর্যন্ত নরখাদকের কামড়, জখম না কি স্রেফ ডুবে মৃত্যু হয় ওই জেনারেলের, সেই বিষয়ে নিশ্চিত কিছু জানা যায়নি।
ওই রিপোর্টে দাবী করা হয়েছে, ১৯৬৫ সালে মুক্তি পাওয়া জেমস বন্ডের ছবি ‘ইউ ওনলি লিভ টোয়াইস’ থেকেই হয়তো এই অভিনব হত্যার ছক সাজিয়েছেন কিম। ওই ছবির খলনায়ক ব্লোফিল্ডের এমন একটি পিরানহা ঠাসা পুকুর ছিল, যেখানে ছুড়ে ফেলে সহকারী হেলগা ব্র্যান্ডকে সে খুন করার ফন্দি এটেছিল।
ডেইলি স্টারের দাবি, কিম জং-উনের এই হত্যার কৌশলকে ‘একান্তই কিমসুলভ’ বলে মেনে নিয়েছেন ব্রিটিশ গোয়েন্দারা। তাঁদের মতে, বিপক্ষের মনে আতঙ্ক জাগানোর জন্য সব সময় উদ্যোগী হন কিম। পিরানহারা আদৌ আহত সেনাকর্তাকে খুবলে খাবে কিনা, তা নিয়ে তিনি ভাবিত হন না। কিন্তু গৌটা বিষয়টি জেনে তাঁর শত্রুদের মনে যে ভীতি সঞ্চারিত হবে, তা ভেবেই সন্তুষ্ট উত্তর কোরিয়ার শাসক।