সাতক্ষীরার পলাশপোলে বসতবাড়িতে হামলা ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
সাতক্ষীরা পৌর এলাকার পলাশপোলে জোর করে বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙ্গচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।হামলায় দুইজন আহত হয়েছে।
রোববার (০৯ জুন)বিকালে পলাশপোল জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের সামনে শেখ আবদুল বাকীর নিজস্ব বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।ঘটনায় শেখ আবদুল বাকী ও তার ভাড়াটিয়া ফিরোজা বেগম আহত হয়েছে।তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
বসতবাড়ি ভাঙ্গচুর ও হামলার ঘটনায় জানা যায়, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের মেডিকেল টেকনোলোজি শেখ আবদুল বাকী ও তার স্থী প্রভাষক নার্গিস পারভীনের খরিতকৃত সম্পত্তি পলাশপোল মৌজার ৬০৭৫ দাগের পৌনি ৪ শতক জমি মৃত. মনিজা খাতুনের কণ্যা মমতাজ বেগম ও ছেলের বউ শামিমা আক্তারের নিকট থেকে কোবলা সূত্রে খরিত করে আজ পর্যন্ত ভোগ দখল করে আসিতেছি।যার দক্ষিণে নাজমা বেগম,উত্তরে নিজ খাস,পশ্চিমে জমির মালিকের নিজস্ব রাস্তা, পূর্বে স্বপণ মাষ্টার হইতেছে।
কিন্ত রোববার বিকালে প্রতিবেশী মৃত. মাহফুজুর রহমানের স্ত্রী নাজমা বেগম মেয়ে মৌ ছেলে নাহিদুর রহমান হঠাৎ লাটিশোটা নিয়ে তার বসতবাড়িতে হামলা করে।তারা ঘরের ছাউনি থেকে শুরু করে ঘরে থাকা আসবাবপত্র সহ যাবতীয় দ্রব্যাদি ভেঙ্গে তছনছ করে দেয়।ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র ও নগদ পঞ্চাশ হাজার টাকা লুটপাট করে নেয়।যার ক্ষতির পরিমান প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা হবে। বাধা দিতে গেলে তাকে ও ভাড়াটিয়াকে মারতে থাকে এবং বলতে থাকে তাকেসহ তার সন্তানদের হত্যা করে ফেলবে।স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাদের কে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
এবিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর শেখ শফিউদ্দৌলা সাগরের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে, আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম।আমি বহুবার ঘটনাটি মিমাংশা করার চেষ্টা করেছি।কিন্তু পারি নাই।
স্থানীয় বাসিন্দা ও ভাড়াটিয়া ফিরোজা বেগম বলেন,আমি গত তিন বছর এই বাড়িতে ভাড়াটিয়া হয়ে বসবাস করছি। তারা বিভিন্ন সময় আমাকে হুমকি-দামকি দেয়। কিন্তু আজ আমার ঘরে ঢুকে আমার আসবাবপত্র সহ বিভিন্ন মালামাল ভেঙ্গে তছনছ করে দেয় এবং আমার ঘরে থাকা নগত পঞ্চাশ হাজার টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নেয়।কিছু বুঝে উঠার আগেই তারা অতর্কিত ভাবে হামলা করে।
স্থানীয় বাসিন্দা মাহমুদুল হোসেন বলেন, আমি এই এলাকার বাসিন্দা।দীর্ঘদিন যাবত বসবাস করে আসছি।এই জমি বাকী ভায়ের বলে জানি।কিন্তু এখন দেখচ্ছি হামলাকারিরা তাদের দাবি করছে।তাদের কি ভাবে হয় সেটা আমার জানা নাই।
ঘটনা সম্পর্কে প্রতিবেশী হামলাকারি নাজমা বেগম ও তার মেয়ে মৌ বলেন,আমাদের জমি আমরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারি। তাতে আপনাদের কি ? কিছু করার থাকলে, করে নেন।
ঘটনা সম্পর্কে সদর থানার অফিসার ইনচার্স মো.মোস্তাফিজুর রহমান ও সদর সার্কেল মেরিনা আক্তার কে জানানো হলেও কোন রকম পুলিশ ফোর্স ঘটনা স্থলে পাঠায়নি।
Please follow and like us: