বদলে যাচ্ছে প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির বই
প্রায় ৭ বছর পর আবারো শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন আসছে। প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত চলমান শিক্ষাক্রমের ভুলত্রুটি সংশোধন, আন্তর্জাতিক মান ও সময়ের চাহিদা বিবেচনা করে এ উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। শিক্ষাক্রম পাল্টে গেলে স্বাভাবিকভাবে বইও বদলে যাবে। সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে কিছুটা সময় নেবে এনসিটিবি।
এই যেমন-
২০২১ সালে প্রথম, দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শ্রেণি, ২০২২ সালে তৃতীয়, চতুর্থ, সপ্তম, নবম ও একাদশ শ্রেণি এবং ২০২৩ সালে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে নতুন শিক্ষাক্রমের বই। এর আগে ২০১২, ১৯৯৫ ও ১৯৭৬ সালে শিক্ষাক্রম পরিমার্জন করা হয়।
এনসিটিবির বক্তব্য, বিশ্বে প্রতি ৫-৬ বছর পর পর শিক্ষাক্রম পর্যালোচনা ও পরিমার্জনের রেওয়াজ আছে। তারই অংশ হিসেবে আমরাও শিক্ষাক্রম পর্যালোচনার কাজ শুরু করেছি।
সূত্র জানায়, শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যবই প্রণয়নে ২০১০ সালের জাতীয় শিক্ষানীতি, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি), রূপকল্প-২০৪১, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আওয়ামী লীগের সর্বশেষ নির্বাচনী ইশতেহার বিবেচনায় আনা হচ্ছে। অন্যান্য দেশের পাশাপাশি দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের শিক্ষাক্রমগুলোও এবার বিবেচনায় নেয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে এনসিটিবির সদস্য (মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম) অধ্যাপক ড. মো. মশিউজ্জামান জানান, শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের লক্ষ্যে কাজ শুরু হয়েছে। সারাদেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলোর এখন বিচার-বিশ্লেষণ চলছে। তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষাক্রম পরিবর্তনে প্রথমে নিড অ্যাসেসমেন্ট করা হবে। এ লক্ষ্যে দেশের ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবী, শিক্ষাবিদসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হবে। এরইমধ্যে দেশের নয়টি শিক্ষা অঞ্চলের ১৮টি জেলার ৩৬টি উপজেলার দুই শতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এ তথ্যগুলো এখন বিশ্লেষণ করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান বাছাইয়ের ক্ষেত্রে অগ্রসর, অনগ্রসর, দুর্গম অঞ্চলসহ সব বিবেচনায় আনা হয়েছে বলে জানান ড. মো. মশিউজ্জামান।