শিবপুর ও আলিপুরের ইউনিয়নের মৎস্য চাষিদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সমাবেশ
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর ও আলিপুর ইউনিয়নের মৎস্য চাষিদের ঘেরে বিষ প্রয়োগ, মাছ চুরি, বিভিন্ন সন্ত্রাসী মূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ ও মৎস্য চাষিদের জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশ ও দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার খানপুর বাজারে শিবপুর ও আলিপুর ইউনিয়নের মৎস্য চাষিদের আয়োজনে এ বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশ ও দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের জন্যে এ গণস্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইব্রাহীম খলিলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন আলিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডাঃ মশিউর রহমান (ময়ূর)।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখেন সাতক্ষীরা জেলা রাইচ মিল সমিতির সাধারণ-সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল গফফার, শিবপুর ইউনিয়ন কৃষিলীগের সভাপতি আনোয়ার ঢালী, যতিন্দ্র নাথ, জিয়াউর রহমান, যতিন্দ্র নাথ।
এসময় বক্তারা বলেন, গত এক যুগেরও বেশি সময়ধরে সুষ্ঠুভাবে মাছ চাষ করতে পারছেনা শিবপুর ও আলিপুর ইউনিয়নের মৎস্য চাষিরা। এক শ্রেণীর মানুষেরা মৎস্য চাষিদের ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে তাদের সর্বস্বান্ত করে দিচ্ছে। গত ২৭শে রমজান খানপুর গ্রামের সৈয়দ আলীর ছেলে সুরাত আলীকে মৎস্য চাষিদের ঘেরে বিষ প্রয়োগকালে হাতেনাতে আটককরে আলিপুর ইউনিয়নের মৎস্য চাষিরা।
পরবর্তীতে তার স্বীকারোক্তিতে একই গ্রামের মৃত. আব্দুল বারীর ছেলে শফিকুল ইসলাম ও সামছুর রহমানের ছেলে ইউনুচ আলীকে ধরে নিয়ে আসে স্থানীয় জনতারা। স্থানীয় জনতার চাপে সালিশীতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে সুরাত-ইউনুচরা জানান খানপুর গ্রামের মৃত হযরত সরদারের ছেলে আক্তারুল ইসলামের হয়ে কাজ করেন তারা। শিবপুর, আলিপুর ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন জায়গাই মৎস্য চাষিদের ঘেরে বিষ প্রয়োগের জন্যে আক্তারুল ইসলাম কন্টাক গ্রহণ করেন। কন্টাক অনুযায়ী নির্ধারিত দিনে ঘেরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধন ও মাছ চুরি করে নেওয়া হয়।
মৎস্য ঘেরে বিষ প্রয়োগের মূল হোতাকে পেয়ে স্থানীয় সালিশীতে তাদেরকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে আক্তারুল ইসলামের যোগসাজশে সাতক্ষীরা সদর থানায় চোরেরাই ঘের মালিকদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেন। এ মিথ্যা অভিযোগের তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসময় তারা আরো বলেন, চোরদের শাসন করতে যেয়ে জনপ্রতিনিধি, সাধারণ জনগণ সহ আমরা শাসন হয়ে যাচ্ছি পুলিশের কাছে চোরদের দেওয়া মিথ্যা অভিযোগের কারণে।
একারণে এসব অভিযোগ থেকে প্রতিকার ও মৎস্য চাষিদের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন বক্তারা।