দেবহাটায় ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজের সংবাদ সম্মেলন
দেবহাটা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলাব্যাপী সকল সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করার পর পূর্ব ঘোষিত প্রতিবাদ সমাবেশের পরিবর্তে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সবুজ।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলার সখিপুর ইউনিয়ন তাঁতি লীগের কার্যালয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনকালে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও তাঁতি লীগের উপজেলা সভাপতি হাবিবুর রহমান সবুজ লিখিত বক্তব্যে বলেন, রবিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের মেয়াদোত্তীর্ন অবৈধ কমিটির নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে সাবেক ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সুসংগঠিত উপজেলা তাঁতি লীগের আহবায়ক কমিটির বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সাথে সাথে ২০১৩ সালে সহিংসতাকালীন এলাকা ছেড়ে পলায়নকারী বর্তমান এই উপজেলা আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় একাধিক বিএনপি-জামায়তের নাশকতাকারীরা আত্মগোপন করে আছে। শুধু তাই নয়, বিগত উপজেলা নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী নৌকার মাঝি আলহাজ্ব আব্দুল গনির নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় বর্তমান উপজেলা আওয়ামী লীগ। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছি।
এছাড়া বর্তমান যুবলীগের মতো ঐতিহ্যবাহী সংগঠনে বিএনপি, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির থেকে আসা একাধিক নাশকতাকারীদের পদ দেওয়া হচ্ছে। তাঁতি লীগের পক্ষ থেকে এঘটনার ঘোর বিরোধিতা করে আসছি এবং বিষয়টি বার বার উপজেলা আওয়ামী লীগকে জানানোর পরও অজ্ঞাত কারণে তাদের বিরুদ্ধে অদ্যাবধি কোন পদক্ষেপ না নিয়ে বরং বিভিন্ন সময়ে আমাদের ওপর চড়াও হয়ে উঠেছে।
২০১৩ সালে সহিংসতা চলাকালীন সময়ে বিএনপি-জামায়তের হরতাল হলেই এসব নেতারা ঢাকায় পলায়ন করতো। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে এলাকার উন্নয়নে দেয়া সরকারী অর্থ সম্পদ লুটপাট করেছে তারা।
আমরা বিগত সময়ে এগুলোর প্রতিবাদ করতে গেলেই তাদের শত্রুতে পরিণত হয়েছি। দলীয় সাধারণ কোন কর্মী বিপদে পড়লে তারা এগিয়ে আসেনা, কিন্তু বিএনপি বা জামায়তের কেউ বিপদে পড়লে টাকা নিয়ে তাদের উপকারে ছুটে যায় এসব নেতারা। অন্যদিকে সখিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের দীর্ঘদিনের বডিগার্ড মেহেদী একজন শিবিরকর্মী যার ভিডিও ফুটেজও রয়েছে।
পাশাপাশি পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বর জামায়তের অন্যতম অর্থ যোগান দাতা আব্দুল আলিম, তার ভাইপো আশিক কুলিয়ার সাবেক ছাত্রদল নেতা শরিফুল, পারুলিয়ার অন্যতম নাশকতাকারী হযরত হাজী, ভাতশালার শরিফুল সহ বহু বিএনপি ও জামায়ত-শিবিরের কর্মীদের যুবলীগ সহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের সাইনবোর্ডের তলায় নিয়ে এসেছে এসব নেতারা।
তাদের দুর্নীতির অনিয়মের বিষয়ে দুদোক তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে অবৈধ সম্পদের বহু অজানা ইতিহাস। তাই অনতিবিলম্বে মেয়াদোত্তীর্ন এই উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত করে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি দেয়ার জন্য জেলা আওয়ামী লীগ সহ ঊর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
শীঘ্রই উপজেলার তৃনমূলের সাধারণ নেতাকর্মীদের গণস্বাক্ষর সহ কমিটি বিলুপ্তির দাবী সম্বলিত একটি স্মারকলিপি জেলা আওয়ামীলীগ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে পাঠনো হবে।
সংবাদ সম্মেলনকালে উপজেলা আওয়ামী তাঁতি লীগের সদস্য সচিব আব্দুল্যাহ সরদার, সাবেক উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম, স্বাধীনতা প্রজন্ম লীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন, উপজেলা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এশারাত হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের নওয়াপাড়া ইউনিয়ন সভাপতি মিজানুর রহমান, সাবেক পারুলিয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল কাদের, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক সবুজ হোসেন, নওয়াপাড়ার ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুল গফুর, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিবন, সাবেক অর্থ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম সহ দলীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।