আশাশুনিতে প্রতিপক্ষের রোষাণল থেকে রক্ষা পেতে আকুতি
আইন আদালতকে অমান্যকারী প্রতিপক্ষের রোষাণল থেকে রাক্ষা পেতে ও অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের দাবীতে আশাশুনিতে অসহায় পরিবারের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে উপজেলার মহিষাডাঙ্গা গ্রামে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
মহিষাডাঙ্গা গ্রামের খগেন্দ্র নাথ সরকারের স্ত্রী কবিতা রানী, তার ছেলে সুজিত সরকার, স্বামী খগেন্দ্র নাথ সরকার ও পুত্র বধু সুভদ্রা রানী সরকার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জানান, প্রতিপক্ষ ভবেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ছেলে শিক্ষক দেবব্রত ও উত্তম বিশ্বাস, ভবেন্দ্র’র স্ত্রী শিক্ষক বিউটি রানী ও ভবেন্দ্র’র সাথে তাদের জমাজমি নিয়ে ২/৩ বছর যাবৎ দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এনিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ ও থানায় দু’বার শালিসী বৈঠক হয়েছে, কিন্তু তারা পরবর্তীতে শালিস অমান্য করে। তারা বিভিন্ন সময় তাদের উপর হুমকী ধামকী ও মারপিটসহ নানা ষড়যন্ত্র করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ মে তারা তাদের (কবিতা) বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে লোহার রড, লাঠিশোটা সহকারে আক্রমন চালিয়ে তাকে বেদম মারপিট করে, হাতের শাখা ভেঙ্গে দেয়। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হন। তার ছেলে বিশ্বজিত ও সুজিত সরকার এবং পুত্রবধু সুভদ্রা সরকার ঠেকাতে গেলে তাদেরকেও বেদম মারপিট করা হয়। সুভদ্রাকে বে-আব্রু ও শ্লীলতাহানি ঘটিয়ে তার গলার বার আনা ওজনের স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেয়। যার মূল্য ৩৬ হাজার টাকা। এসময় তারা ঘরবাড়ি ও সীমানার ঘেরা বেড়া ভেঙ্গে অনুমান ৩০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করে। সাড়ে ৩ বছর বয়সী শিশুকেও ছাড় দেয়নি। গুরতর আহত অবস্থায় তিনি ও তার ছেলে সুজিতকে আশাশুনি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এনিয়ে পত্রপত্রিকায় খবর প্রকাশিত হলে প্রতিপক্ষরা তাদের বাড়িতে গিয়ে শাসিয়ে জীবন নাশসহ নানান হুমকী ধামকী দেয়। ফলে তারা জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এব্যাপারে প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।