প্রতারণার শিকার হয়ে সৌদি যেয়ে সর্বশান্ত শ্যামনাগরের কামরুল
চোখে স্বপ্ন ছিল বিদেশ যেয়ে টাকা আয় করে পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনবে। কিন্তু সেই স্বপ্ন যেন দুঃস্বপ্ন হয়ে ওঠে তার। নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে উচ্চ সুদে টাকা নিয়ে বিদেশ গেলেও প্রতারণার শিকার হয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে নিঃস্ব হাতে বাড়ি ফিরে এসেছে শ্যামনগর উপজেলার নওয়াবেকী গ্রামের জিয়াদ আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম।
সর্বস্বান্ত কামরুল জানান, মাসে মোটা অংকের বেতনের লোভ দেখিয়ে সাড়ে ৫ লক্ষ টাকার বিনিময়ে নওয়াবেকী গ্রামের দাউদ মোড়লের ছেলে সৌদি প্রবাসী আদম ব্যপারী ইউনুস তাকে জাল ভিসার মাধ্যমে সৌদি আরবে নিয়ে যায়। সুদে টাকা নিয়ে বিদেশ পাড়ি জমিয়ে কামরুল পড়ে যায় বিপদে । সেখানে যেয়ে সে জানতে পারে তাকে যে কোম্পানির ভিসায় আনা হয়েছে প্রায় ১ বছর আগে ওই কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। এসময় সে ইউনুসকে ওয়ার্ক পারমিটের জন্য বলতে থকলেও দীর্ঘ
দুইমাস চেষ্টা করেও ওয়ার্ক পারমিট দিতে ব্যর্থ হয় সে। তিন মাসের ভিসার মেয়াদ শেষ হবার দুই দিন আগে কামরুলকে সৌদি আরবে একটি রুমে আটকিয়ে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে জোর করে একটি সাদা কাগজে টিপ ও সই করে নেই। এবং এগুলো ভিডিও ধারণ করে নেই তারা। পরবর্তীতে
ওই সাদা কাগজে তারা নিজেরা লিখে নেয় কামরুল ওই দেশে কাজ করবেনা এজন্য স্বেচ্ছায় সে বাংলাদেশে চলে এসেছে। তাছাড়া তার সাথে কারও কোন প্রকার আর্থিক লেনদেন হয়নি। বাংলাদেশে চলে আসার পরে স্থানীয় গণ্য মান্য ব্যক্তিদের শালিসের মাধ্যমে ৪ লক্ষ টাকা কামরুলকে ফেরত দিতে চাই ইউনুস। টাকা ফেরত পাবে এমন ভরসা পেয়ে একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে অসহায় কামরুল। কিন্তু কয়েকদিন বাদেই একটি কানা কড়িও ফেরত দিবেনা বলে জানিয়ে দেয় ওই আদম ব্যপারি। টাকা কিভাবে ফেরত পাবে প্রভাবশালী ইউনুসের কাছ থেকে সেটি জানা নেই কামরুলের। তবে দারে দারে ঘুরে বেড়াচ্ছে তার প্রাপ্য টাকা ফেরত আনার আশায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন জানান,শুধু কামরুল ছাড়া ওই এলাকার ৪ জন ব্যাক্তিকে বিদেশ নিয়ে
যেয়ে বিপদে ফেলেছে ইউনুস। তাদের পেশা আদম ব্যবসা সাধারণ মানুষকে বিপদে ফেলে টাকার পাহাড় গড়ে তুলেছে ইউনুস।
বিষয়টি সম্পর্কে জানার জন্য ইউনুসের বাড়িতে গেলেও তার দেখা পাওয়া যায়নি। তাছাড়া তার মোবাইল ফোনে একাধীকবার ফোন দিলেও রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।