পথশিশুদের সাহায্য করলেই জেল-জরিমানা!
উগান্ডার রাজধানী কাম্পালায় পথশিশুদের খাবার বা টাকা দান করা অবৈধ ঘোষণা করে নতুন এক আইন পাস করেছে দেশটির সরকার। পথশিশুদের কোনোভাবে সাহায্য করলে এখন থেকে জরিমানা গুণতে হবে উগান্ডার নাগরিকদের।
সন্তানদের রাস্তায় ভিক্ষা করতে বা রাস্তায় কাজ করতে দেখা গেলে বাবা-মাকেও শাস্তি আওতায় আনা হবে বলে জানান স্থানীয় মেয়র।
কাম্পালার লর্ড মেয়র এরিয়াস লুকওয়াগো বলেন, ব্যবসায়িক কাজে এবং যৌন ব্যবসায় শিশুদের ব্যবহার কমানোর উদ্দেশ্যে এ আইন পাস করা হয়েছে। আইনের বিধি অমান্যকারীদের সর্বোচ্চ ছয় মাসের কারাদণ্ড বা ১১ ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
দেশটির সরকারি হিসাব অনুযায়ী, রাজধানী কাম্পালার রাস্তায় ৭ থেকে ১৭ বছর বয়সী প্রায় ১৫ হাজার পথশিশু বাস করে।
বিবিসির উগান্ডা প্রতিনিধি ডিয়ার জেয়ান বলেন, গ্রাম থেকে অনেক শিশুকে শহরে নিয়ে আসা হয়। এসব শিশুদের জোর করে নানা রকম কাজ করানো হয়ে থাকে। এ ধরনের ব্যবসা থামাতে নতুন আইনের অধীনে যৌন ব্যবসার জন্য শহরে বাসা ভাড়া করা বা ভিক্ষা করা বা শিশুদের দিয়ে ক্ষুদ্র ব্যবসা চালানোও আইনত অবৈধ হিসেবে বিবেচিত হবে।
কাম্পালার ৬০ বছর বয়সী ভিক্ষুক অ্যানি। তিনি বেশি পরিমাণ ভিক্ষা পাওয়া আশায় শিশুদের দেখিয়ে মানুষের মন গলানোর চেষ্টা করেন। অ্যানি বলেন, যতক্ষণ গ্রাম থেকে শিশুরা আসবে, ততক্ষণ আমরা রাস্তায় ভিক্ষা করব। এ জন্য আমরা কারাবন্দি হতে প্রস্তুত।
মেয়র লুকওয়াগো বলেন, যেসব অভিভাবক ও পাচারকারী শিশুদের পেছনে ছুটছেন, তাদের জন্য এ আইন তৈরি করা হয়েছে। সন্তানদের রাস্তায় ভিক্ষা করতে বা রাস্তায় কাজ করতে দেখা গেলে বাবা-মাকেও শাস্তির আওতায় আনা হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিশুদের নিয়ে এসে কাম্পালায় ভিক্ষাবৃত্তিতে ব্যবহার করা বর্তমানে একটি লাভজনক ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। আমরা এটি বন্ধ করতে চাই।