সারাদেশে বজ্রপাতে নিহত ৯
সারাদেশে শুক্রবার বিকেল থেকে শনিবার ভোর পর্যন্ত বজ্রপাতে নয়জন নিহত হয়েছেন।
পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের সূত্রানুযায়ী, সকালের দিকে বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশে হাওরে মাছ ধরতে যান নবীগঞ্জের কৃষক সিজিল মিয়া। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে সকাল ১১টার দিকে বাড়ির পাশে ধান কাটতে যান চা শ্রমিক সীমা উরাও। কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া দুপুরের দিকে মাধবপুর উপজেলার ছানকা বুল্লা গ্রামে জমিতে ধান কাটতে যান ফয়সল মিয়া। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
হবিগঞ্জের অতিরিক্ত ডিসি (সার্বিক) ফজলুল জাহিদ পাভেল বলেন, নিহতদের সব তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে সরকারি সহায়তা দেয়া হবে।
সন্ধ্যায় কুমিল্লার হোমনায় ধানি জমিতে কাজ করতে বজ্রপাতে নিহত হয়েছে স্কুলছাত্র ফাহাদ। ফাহাদ হোমনার পাতালিয়াকান্দি গ্রামের মোসলেহ উদ্দিনের ছেলে ও দুলালপুর চন্দ্রমনি উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
বজ্রপাতে ফাহাদ নিহত হওয়ার বিষয়টি হোমনা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সরফরাজ আহম্মেদ নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বজ্রপাতে রাফি উদ্দিন আহমেদ নামে এক ইমামের মৃত্যু হয়েছে। রাফি নাসিরনগরের দাঁতমণ্ডল গ্রামের মো. শাহনেওয়াজ মিয়ার ছেলে। তিনি দাঁতমণ্ডল জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন।
নাসিরনগর থানার ওসি (তদন্ত) কবির হোসেন বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে মুষলধারে বৃষ্টি শুরু হলে রাফি বাড়ির পাশের জমিতে কাজ করতে যান। এ সময় বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
এছাড়া সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার দুই গ্রামে শুক্রবার রাতে বজ্রপাতে চার ধানকাটা শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরো তিন শ্রমিক। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি।
ইউএনও আরিফুজ্জামান বলেন, বজ্রপাতে দুই গ্রামের নিহতদের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে লোক পাঠানো হয়েছে।