কমিটি ভেঙে দেওয়াকে কেন্দ্র করে কালিগঞ্জে ছাত্রলীগের দুই সাবেক সভাপতিকে কুপিয়ে জখম

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলায় কমিটি ভেঙে দেওয়া নিয়ে বিরোধে একই রাতে ছাত্রলীগের দুই সাবেক ইউনিয়ন সভাপতিকে কুপিয়ে জখম করেছে ছাত্রলীগেরই একটি গ্রুপ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নে গোবিন্দপুর হাটখোলায় ও রাত ১০টার দিকে উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়নে কাজী পাড়া ঈদগাহ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সূত্র জানায়, ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের গোবিন্দপুর হাটখোলায় ইউপি চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেন এবং তার ভাতিজা, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি হৃদয়ের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি ওবায়দুর রহমান বাবুকে ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে মৃতভেবে ফেলে রেখে যায়। পরবর্তীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সজল মুখার্জীসহ স্থানীয়রা আশংকাজনক অবস্থায় ওবায়দুর রহমান বাবুকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তার অবস্থা আশংকাজনক। এদিকে, রাত ১০টার দিকে উপজেলার কুশুলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি মীর আবু বক্করকে কুপিয়েছে তার প্রতিপক্ষ।

জানা গেছে, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক সভাপতি মীর আবু বক্কর জীরনগাছা মোড় থেকে বাড়ি আসার পথে কুশুলিয়া ঈদগাহ এলাকায় পৌছলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী নুর আহমেদ রনি’র (২৮) নেতৃত্বে ওই গ্রামের ভুট্টা কাজীর ছেলে অপু হোসেন (১৯), মহসিন কাজীর ছেলে সাজু কাজী (১৯), কাজী শুকুরের ছেলে কাজী হৃদয় (২০), কাজী ইউসুপের ছেলে কাজী আব্দুল্লাহ (১৯), কাজী কদুর আলীর ছেলে কাজী শাহাজালালসহ (১৮) অজ্ঞাত ৫-৬ জন তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এসময় বক্কারের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। পরবর্তীতে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

প্রসঙ্গত, কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী নুর আহমেদ রনিকে চাহিদা অনুযায়ী টাকা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মেয়াদ থাকা সত্ত্বেও গত ১৩ মে উপজেলার রতনপুর, বিষ্ণুপুর ও কুশুলিয়া ইউনিয়ন এবং কুশুলিয়া স্কুল এন্ড কলেজ ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করে উপজেলা ছাত্রলীগ।

অগঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ভেঙে দেয়া ওই চারটি ইউনিটের কমিটি পুনর্বহাল এবং বিতর্কিত উপজেলা কমিটি ভেঙে পুনরায় কমিটি গঠনের দাবিতে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করে বিলুপ্ত চারটি কমিটির নেতা-কর্মীরা। এরপর থেকে ওই চার ইউনিয়নের সভাপতি ও সম্পাদকসহ নেতা কর্মীদেরকে বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করে আসছিলো উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী নুর আহমেদ রনিসহ তার সমর্থকরা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি আহতদের।

কালিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ হাসান হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ নিয়ে কোনো পক্ষ থানায় এখনও পর্যন্ত কোনো অভিযোগ দেয়নি।

Please follow and like us:
fb-share-icon
Tweet 20

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial
error

Enjoy this blog? Please spread the word :)