চাম্পাফুল ইউনিয়নের মামলাবাজ শ্যামলী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে
সাতক্ষিরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার একটি শান্তিপূর্ণ ইউনিয়ন ০৩ নং চাম্পাফুল ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নের ০২ নং সাইহাটী ওয়ার্ডের বাসিন্দা দিলীপ নন্দির মেয়ে শ্যামলী নন্দী (৫৩)।
শ্যামলী নন্দী অদ্যাবধি চাম্পাফুল ইউনিয়ন সহ পার্শ্ববর্তী আশাশুনি,দেবহাটা,সাতক্ষিরা সদর সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষের নামে অসংখ্য মামলা করে আসছেন। এমনকি তার নিজ ভাই,ভাইয়ের বউ,ভাতিজার নামে ও মামলা করেছেন।
যাহা পরবর্তীতে মহামান্য আদালতে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়েছে।বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে নিজেকে অসহায় নারী দাবী করে তাহাদের ভুল বুঝিয়ে বহু সাধারণ মানুষের নামে মিথ্যা মামলা নেওয়ার জন্য বিভিন্ন থানায় সুপারিশ করিয়ে ও নিতেন এই শ্যামলী নন্দী এবং সাধারণের নিকট মামলা তুলে নিবেন বলে বড় অংকের টাকা দাবী করতেন। পরবর্তী তে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন বুঝতে পারেন শ্যামলী নন্দী একজন পেশাদার মামলাবাজ এবং অর্থ উপার্জনের জন্য এই পথ অবলম্বন করেন,তখনই শ্যামলী নন্দীকে ঊর্ধ্বগগন কর্মকর্তাগন তাহাদের দপ্তরে প্রবেশ করতে নিষেধ করেন।
চাম্পাফুল ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন জায়গায় শ্যামলীর বিরুদ্ধে একাধিক মানব বন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তবুও অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে সাধারণ জনগণের নামে বিভিন্ন থানা ও কোর্টে মিথ্যা পিটিশন করেই যাচ্ছেন এই শ্যামলী নন্দী।
সম্প্রতি শ্যামলী নন্দী কালিগঞ্জের চাম্পাফুল ও আশাশুনির শোভনালী ইউনিয়নের সম্ভ্রান্ত ব্যক্তিদের নামে পুলিশ হেডকোয়াটার্সে মিথ্যা অভিযোগ করছেন এবং পরবর্তীতে ওই অভিযোগের নকল কপি দেখিয়ে ভীতি প্রদর্শন সহ অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য মোটা অংকের টাকা দাবি করছেন,যাহার কয়েকটি প্রমাণ এই প্রতিনিধির কাছে রয়েছে।
অন্যদিকে চাম্পাফুল বাজারে ভ্যানচালক,ভাড়ায় চালিত গরীব মোটরসাইকেল চালকদের সাথে নিজ ইচ্ছায় তর্ক করে ঝগড়ার সৃষ্টি করে শ্যামলী এবং তাৎক্ষনিক পরহিত জামা কাপড় ছিড়ে কোর্টে চলে যাচ্ছে। তারপর শ্লীলতাহানি,চাঁদাবাজি,ধর্ষণের চেষ্টা ইত্যাদির পিটিশন দাখিল করছে সাতক্ষিরার আদালত সমূহে। ওই পিটিশনের নকল কপি বাড়িতে নিয়ে এসে বিবাদীদের নিকট পিটিশন তুলে নেওয়ার জন্য বড় অংকের টাকা দাবী করছেন শ্যামলী নন্দী,যাহার বহু সাক্ষী ও ভুক্তভোগী মিলেছে এই প্রতিনিধির কাছে। এবং আরো জানা গেছে বেশ কয়েকজন শ্যামলী নন্দীর বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার সাতক্ষিরা বরাবর সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছেন যেগুলোর বেশিরভাগই কালিগঞ্জ থানায় তদন্তধীন রয়েছে।
এছাড়াও শ্যামলী নন্দী নিজ হাত ব্যাগে করে মাদক ও ইন্ডিয়ান অবৈধ জিনিসপত্র বহন করার অভিযোগ উঠেছে।
চাম্পাফুল ইউনিয়নের একটি গোপন সূত্রে জানা গেছে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা করে অর্জিত টাকা শ্যামলী নন্দী চড়া সুদে প্রদান করে এলাকার মানুষের কাছে।
এলাকার বেশিরভাগ সাধারণ গরীব খেটে খাওয়া মানুষ ঝামেলায় জড়াতে চান না বলে শ্যামলীর বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে ভয় পাচ্ছেন।
অথচ শ্যামলীর পরিবার সহ হাজারো সাধারণ ভুক্তভোগী জনগণ তাদের শত আর্তনাদ বুকে চেপে রেখেছেন।
চাম্পাফুল তথা পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের সাধারণ জনগণ মামলাবাজ,মাদক ও অবৈধ ইন্ডিয়ান জিনিসপত্র বহনকারী ও বিক্রেতা,সুদের কারবারি শ্যামলী নন্দীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংবাদপত্রের মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট বিশেষ অনুরোধ জানিয়েছেন।
শ্যামলী নন্দীর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কালিগঞ্জের চাম্পাফুল তথা পার্শ্ববর্তী আশাশুনি,দেবহাটার সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফিরে আসবে বলে সাধারণ জনগণ আশাবাদী।