দিনেশ ঘোষ অসত্য তথ্য দিয়ে বাজিমাত করেছেন:সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক
আমার দাদা দিনেশ ঘোষ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তিনি সংবাদপত্রে এসব ভুয়া তথ্য হাজির করে বাজিমাত করার চেষ্টা করেছেন। প্রকৃতপক্ষে আমাদের জমি যাতে ভাগাভাগি না করা হয় তারই পাঁয়তারা করছেন তিনি। কারণ তার জমির মধ্যে আমাদের পাওনা সাড়ে ১৩ শতক জমি রয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে একথা বলেন পাটকেলঘাটার সরুলিয়া ঘোষপাড়ার কলেজ শিক্ষক কল্যাণ ঘোষ। তিনি বলেন আমরা আমার জ্যাঠাতো দাদা দিনেশ ঘোষের জমি দখল করিনি। এমন চেষ্টাও করিনি কখনও। অথচ গায়ে পড়ে তিনি ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছেন। আমি বা আমরা তার ছোট ভাই প্রশান্ত ঘোষকে কখনও মারপিট করিনি। তিনি কয়েক বছর যাবত ঢাকায় রয়েছেন অসুস্থ অবস্থায়। তার অসুস্থতার সাথে আমাদের কোনো যোগ নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন দাদা দিনেশ ঘোষ ২৬ এপ্রিল তারিখে বাড়ির পুকুর পাড়ে তাকে মারধর করা হয়েছে বলে যে অভিযোগ তুলেছেন তা সর্বেব মিথ্যা। ওই দিন ওই স্থানে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে তিনি পাটকেলঘাটা থানায় যে অভিযোগ দেন তার প্রেক্ষিতে পুলিশের দুই এসআই সরুলিয়া যেয়ে জানতে পারেন কথিত মারপিটের ঘটনার সাথে আমার বা আমাদের কারও সম্পর্ক নেই। আমি ছফুরন্নেসা কলেজের শিক্ষক। সরুলিয়া হাইস্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি। আমি সরুলিয়া ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। আমি শিক্ষার্থীদের শিখাই। আমি তো কোনো দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষ হতে পারিনা উল্লেখ করে তিনি বলেন ‘ আমি আমার দাদার গায়ে হাত তুলেছি এমন হীন মানসিকতা আমি ধারণ করিনা। একথা কেউ বিশ্বাসও করবেন না। অথচ আমার দাদা দিনেশ ঘোষ সেই অপবাদই চাপিয়ে দিলেন আমার ওপর’। আমি তার বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। কেবলমাত্র সামাজিকভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য আমার বিরুদ্ধে এসব কল্পিত অভিযোগ এনেছেন দিনেশ ঘোষ।
তিনি আরও বলেন আমি এমন একটি শিক্ষিত পরিবারের ছেলে যে পরিবারে সরকারের উচ্চ পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন। আমার বাবা ছিলেন একজন নিবেদিত শিক্ষক। আমি আমার দাদার গায়ে হাত তোলা দুরের কথা তাকে নিয়ে কটূ বাক্য উচ্চারণও করতে পারিনা। এসব ভুয়া তথ্যের প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি দাদা দিনেশের অপপ্রচারে কান না দেওয়ার আহবান জানান।