মা, মেয়ে ও ছেলের লাশ, পুলিশের ধারণা আত্মহত্যা
রাজধানীর উত্তরখানের একটি বাসা থেকে মা, মেয়ে ও ছেলের লাশ উদ্ধারের ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলে ধারণা করছে পুলিশ। আত্মহত্যার কথা উল্লেখ করে ছেলের পৃথক চিরকুট পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ। এর আগে মায়ের লাশের পাশেও আলাদা চিরকুট পাওয়ার কথা জানায় পুলিশ।
গতকাল রোববার রাত সোয়া ১০টার দিকে উত্তর খানের চাপানেরটেক এলাকার একটি বাসা থেকে মা, মেয়ে ও ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়। রাতে বাসার অন্য ভাড়াটেরা দুর্গন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থল থেকে ওই তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত তিনজন হলেন মা জাহানারা বেগম ওরফে মুক্তা (৪৫), ছেলে কাজী মুহিত হাসান (২৮) ও মেয়ে তাসপিয়া সুলতানা (২২)।
তাঁদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের ভৈরবে। জাহানারা বেগমের স্বামী ইকবাল হোসেন দু-তিন বছর আগেই মারা গেছেন। লাশ উদ্ধারের সময় বাসার ভেতর থেকে দরজার ছিটকিনি লাগানো ছিল। তিনজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
উত্তরখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনাটিকে আত্মহত্যা বলেই ধারণা করা যাচ্ছে। ছেলে কাজী মুহিত হাসানের লেখা একটি চিরকুট পাওয়া গেছে। তাতে তিনি লিখেছেন, ‘মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়। আত্মীয়স্বজনের অবহেলায় আত্মহত্যা করলাম।’
ওসি বলেন, মুহিত হাসানের বাবা আগেই মারা গেছেন। বোন মানসিক প্রতিবন্ধী ছিলেন। বাড়িতে সারাক্ষণ চিৎকার–চেঁচামেচি করতেন বোনটি। মুহিত বেকার ছিলেন। এসব নিয়ে তিনি মানসিক বিষণ্নতা থেকে আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
ওসি জানান, পরিবারটির আত্মীয়স্বজনকে খবর দেওয়া হয়েছে। তাঁরা মামলা করতে না চাইলে পুলিশ মামলা করবে। এ ঘটনায় আপাতত অপমৃত্যুর মামলা করা হবে। আর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে মৃত্যুর অন্য কারণ জানা গেলে সেই অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উত্তরখান থানার পরিদর্শক (অভিযান) নাসির উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, একতলা বাসায় ওই পরিবারসহ তিনজন ব্যাচেলর ভাড়া থাকতেন। বাকি ভাড়াটেরা একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী। ১ মে বাসা ভাড়া নিয়েছিল পরিবারটি।