মমতাময়ী ‘মা’
আমার জন্মতে তোমার অসহনীয় ব্যথা,
তবু লোচনে তোমার আনন্দ-অশ্রু।
এই বুঝি তোমার নারী রূপে পূর্ণতা-
পেয়ে আজি মাতৃত্বের স্বাধ।
মা’ তোমার দুগ্ধে গড়া শরীর
তোমার পরম যত্নে লালিত এ দেহ।
যখনই আমার হাঁটতে যেয়ে পড়তে শেখা
তোমার আঙ্গুল ধরে আবার দাঁড়াতে শেখা।
আমার মুখে আধ-আধ সুরে ‘মা’ বলা; সে তো-
তোমার মুখের বুলি শুনেই আমার কথা বলা।
মমতার আঁচলে, পরম যত্নে তোমার বুকে
আমার তিলে তিলে বেড়ে ওঠা।
মা’ তোমার খোকা আজ বেশ বড়
তবে তোমার কাছে আজও সেই ছোট্ট খোকা।
তোমায় ছাড়া তোমার খোকা আজ অনেক দূরে
শিখছে জ্ঞান দেশ বিদেশ ঘুরে।
তোমার খোকা ফিরবে তোমার বুকে
ক্লান্ত শ্রান্ত তোমার ছোট্ট খোকা।
বলবে তখন তুমি-
“দেখছি অনেক রোগা হয়ে গেছিস,
বুয়ার হাতের রান্না কি খেতে পারিস?”
পরম আদরে নিজ হাতে মাখি ভাত
আমার মুখে দিচ্ছ তুমি তুলে।
এ যে জন্মান্তরের বাঁধন!
বুকের ভেতর যতন করে
মায়ার আঁচলে আমায় মুড়ে
আর তো রাখেনি কেউ মা’তুমি ছাড়া।
বাসেনি আমায় কেউ এত ভাল
মা’তুমি যত বেসেছ ভাল মোরে।
বিধাতা আমায় তোমার গর্ভে দিয়ে
ধন্য আমায় করেছে।
হে পরম করুণাময়, আমায় দিও শক্তি তুমি
জীবন আমার থাকতে
যেন আমার মায়ের কোন কষ্ট না হয়।
মা’গো ভালবাসি তোমায়,
মুখে তা বলতে লজ্জা পাই।
মা’গো তোমার হাসিতে বেহেশত আমার,
তোমার অশ্রুতে দোযখ।
তোমার পায়ের নিচে বেহেশত আমার,
ঠাই দিও আমায় মা’গো তোমার কোলে-
রাজপ্রাসাদ আমি না চাই।